
গুণমুগ্ধ শ্রোতাদের শেষ ‘আলবিদা’, শেষশ্রদ্ধা জানাতে প্রয়াত কে কে–এর বাড়িতে একাধিক শিল্পীর জমায়েত
জনপ্রিয় গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ, যিনি কে কে নামে পরিচিত গোটা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে, ৩১ মে মঙ্গলবার কলকাতায় কনসার্ট করতে এসে আকস্মিকভাবে মারা যান। কলকাতার নজরুল মঞ্চে কে কে তাঁর শেষ গানের অনুষ্ঠান করে হোটেলে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোফায় বসতে গিয়ে পড়ে যান এবং মাথায় চোট লাগে কে ক–এর। এরপরই তাঁকে দ্রুত শহরের সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। বুধবার সন্ধ্যায় কে কে–এর নিথর দেহ মুম্বই এসে পৌঁছায়। তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ভার্সোভা হিন্দু শশ্মানে। ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কে কে–এর মতো বহুমুখী গায়ক খুব কম রয়েছেন। দেখে নিন তাঁর শেষকৃত্যে কারা কারা যোগ দিলেন।

শেষশ্রদ্ধা জানাতে হাজির একাধিক শিল্পী
শেষকৃত্যের আগে কে কে-কে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে আসেন গীতিকার জাভেদ আখতার ও গায়ক-সঙ্গীতকার শঙ্কর মহাদেবন। এছাড়াও সঙ্গীতশিল্পীর শেষকৃত্যে যোগ দেন গায়ক রাহুল বৈদ্য। এছাড়াও কে কে-এর মুম্বইয়ের বাড়িতে গায়ককে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন পরিচালক কবীর খান ও তাঁর স্ত্রী মিনি মাথুর, গীতিকার সমীর, গায়িক অলকা ইয়াগনিক, শ্রেয়া ঘোষাল, সমীর মার্চেন্ট, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, হরিহরণ সহ একাধিক সঙ্গীত জগতের শিল্পী।

শ্রেয়া ঘোষাল ভেঙে পড়েন
অন্তিম দর্শনের জন্য গিয়ে গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল রীতিমতো ভেঙে পড়েন। কে কে-কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। তাঁকে সামলান তাঁর স্বামী। গায়ক জাভেদ আলি কে কে-এর বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারকে সান্তনা দেন। আসলে কে কে-এর এই আকস্মিক চলে যাওয়াকে কেউই মেনে নিতে পারছেন না। সঙ্গীত জগতের এক নক্ষত্র পতন। যা কোনওদিন পূরণ হওয়ার নয়।

কড়া পুলিশি ব্যবস্থা
কে কে-এর শেষ অন্তিম যাত্রায় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য মুম্বই পুলিশ কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি করে। শিল্পীর বাড়ি থেকে শশ্মান পর্যন্ত ভারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

শেষকৃত্যের কাজ করলেন ছেলে নকুল
শেষ যাত্রার জন্য কে কে-এর দেহকে ফুলে মোড়া অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয় ভার্সোভা হিন্দু শশ্মানে নিয়ে যাওয়ার জন্য। গায়কের ছেলে নকুল শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। গানের মঞ্চেই দেশের অগণিত শ্রোতাদের শেষবারের মতো 'আলবিদা' জানালেন কে কে। তাঁর গাওয়া প্রত্যেকটা গানকেই শ্রোতারা কখনই ভুলবেন না।