কর্নাটকের পর মুম্বই, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠল কঙ্গনার বিরুদ্ধে,
কঙ্গনা রানাওয়াতকে নিয়ে যেন বিতর্ক শেষ হতে চাইছে না। কৃষকদের সন্ত্রাসবাদী বলে রীতিমতো দেশবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়েছে কর্নাটক পুলিশের কাছে। তাও শিক্ষা নেই, ফের কঙ্গনার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠল।
টুইটার সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় কঙ্গনা রানাওয়াত ও তাঁর টিম একেবারে লাগামছাড়া। যাঁর বিরুদ্ধে পারছে তাঁর বিরুদ্ধেই তোপ দাগছে। রাজনৈতিক নেতা থেকে বলি পাড়া সকলেই বিরক্ত তাঁর এই কাণ্ড কারখানার জন্য। সম্প্রতি হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভাঙার চেষ্টা করে যাচ্ছেন অভিনেত্রী ও তাঁর দিদি, এমনই অভিযোগ এনে মুম্বইয়ের বান্দ্রা আদালতে পিটিশন দাখিল করেছেন সাহিল আশরাফালি সায়েদ নামে এক ব্যক্তি। পিটিশনে সাহিল জানিয়েছেন, কঙ্গনা ও তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেলের সোশ্যাল মিডিয়া বহু অনুগামী রয়েছেন। তাঁদের পোস্ট ভাইরাল হতে সময় নেয় না। আর এই সুযোগে তাঁরা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাপূর্ণ পোস্ট ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনি গত কয়েকমাসে এমন সব মন্তব্য করে পোস্ট করেছেন যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। অভিনেত্রীর প্রতিটি পোস্টেই ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা লেখা থাকে বলে দাবি সাহিলের।
এই পিটিশনের ভিত্তিতেই কঙ্গনা ও তাঁর দিদির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন বান্দ্রা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়দেও ওয়াই ঘুলে। তিনি জানিয়েছেন এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার। প্রসঙ্গত, নতুন কৃষি বিলের পক্ষে মুখ খুলেও বিতর্কে জড়িয়েছেন কঙ্গনা। টুইটারে কৃষকদের সন্ত্রাসবাদী বলার অভিযোগে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেয় তুমকুরু জেলা আদালত। আদালতের নির্দেশ মেনে কর্নাটক পুলিশ সাম্প্রদায়িক হিংসায় উস্কানি, বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতায় ইন্ধন সহ ফৌজদারি কার্যবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে।