নিষিদ্ধ করা হোক এমটিভি স্প্লিটসভিলা, দাবি হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির
এর পাশাপাশি এইচজেএস এও অভিযোগ তুলেছে যে, যে পর্বগুলি সম্প্রচার করা হয় তাতেও ঠিকঠাকভাবে কাঁচি চালানো হয়না। কেউ না দেখেউ পর্বগুলি 'অন এয়ার' চালিয়ে দেয়।
এমটিভির এই রিয়্যালিটি শো আসলে আমেরিকার ডেটিং রিয়্যালিটি শো 'ফ্লেভার অফ লাভ' এর অনুকরণে তৈরি হয়েছে এই ধারাবাহিক। যেখানে তরুণ ছেলে মেয়েরা নিজেদের 'ডেটিং পার্টনার' খুঁজে পেতে নানারকম প্রতিযোগীতায় অংশ নেবেন, রাজনীতি করবেন যার শেষ ইর্থ হল স্প্লিটসভিলায় যেন তেন প্রকারে টিকে থাকা। সবশেষে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়ে যাবেন যাঁরা স্প্লিটসভিলার রাজা ও রানী ঘোষিত হবেন।
আরও খবর পড়ুন : 'সানি লিওনি ভারত ছাড়ো', দাবি হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির
কিন্তু এই অনুষ্ঠানে তরুণ-তরুণীদের ভাবভঙ্গি, পোশাক নিয়ে উঠছে অভিযোগ। এইচজেএস-এর জাতীয় মুখপাত্র রমেশ সিন্দে জানিয়েছেন, এই ধরণের অনুষ্ঠানের প্রভাব অত্যন্ত তীব্রভাবে পড়ছে ভারতের তরুণ সমাজের উপর। এই অনুষ্ঠানে মেয়েদের পোশাক ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে খাপ খায় না। এই ধরণের অনুষ্ঠানের জেরে যৌন শোষণ এবং বর্ণবিদ্বেষগত টিটকিরির মতো ঘটনা প্রশ্রয় পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনার ভূমিকায় রয়েছেন জনপ্রিয় নীল তারকা সানি লিওনি। এই অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করার পিছনে এইচজেএস-এর অন্যতম কারণ এই সানিই। সানি নীল তারকা এবং বলিউড ছবিতেও যে ধরণের পোশাকে সানিকে দেখা যায় তা অপসংস্কৃতি বলেই মনে করে এইচজেএস এই নিয়ে আগেই সানিকে ভারত ছাড়া করার দাবি তুলেছিলেন তারা। এই অনুষ্ঠানে সানির উপস্থিতি আরও একবার এইচজেএস-এ সেই দাবিকেই উস্কে দিয়েছে।
রমেশবাবুর কথায়, আমাদের দেশে ধর্ষণ, মহিলাদের প্রতি যৌন হেনস্থার ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আর স্প্লিটসভিলার মতো অনুষ্ঠানে এই ধরণের ঘটনায় আগুনে ঘি ঢালার কাজ করে।