ফেসবুক, টুইটারকে সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন
ফেসবুক, টুইটার খুব জনপ্রিয় মাধ্যম। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ভারতেও এদের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। কিন্তু, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যাচ্ছে, ভোটের সময় রাজনীতিক দলগুলির সমর্থক, কর্মীরা ফেসবুক, টুইটারকে প্রচারের হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিচ্ছে। আর তা করতে গিয়ে তারা কখনও কখনও কোনও ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, জাতি ইত্যাদির বিরুদ্ধে কুৎসিত মন্তব্য, ছবি 'পোস্ট' করেছে। এর ফলে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ হচ্ছে। সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগেও এমন কিছু ঘটনা নির্বাচন কমিশনের নজরে এসেছে। কমিশনের এক কর্তা জানালেন, কিছুদিন আগে তাঁরা ফেসবুকে কিছু ছবি দেখেছেন যেখানে মেয়েদের রাজনীতিক বিচার-বিবেচনাকে বিশ্রীভাবে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। এ ধরনের 'পোস্ট'-কে আদৌ হালকা মেজাজে দেখতে রাজি নয় নির্বাচন কমিশন। তাই লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, তত শ্যেন নজরদারি চালাচ্ছে তারা।
সাম্প্রতিক বৈঠকে তাই ফেসবুক, টুইটারের প্রতিনিধিদের চেপে ধরা হয়। সোশ্যাল মিডিয়াগুলির প্রতিনিধিরা যুক্তি দেন, সারা পৃথিবী থেকে কারা কখন কী 'পোস্ট' করল, তা লক্ষ রাখা সম্ভব নয়। তা ছাড়া, মূল সার্ভার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকায় ভারতে বসে 'পোস্ট' নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল। কিন্তু, তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। নির্বাচন কমিশনের পাল্টা বক্তব্য, কেন আমেরিকার সদর দফতরে এ ব্যাপারে কথা বলা হবে না! কেন ভারতের আইনকে সম্মান জানাবে না ফেসবুক, টুইটার! অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে, অজুহাত শুনতে রাজি নয় নির্বাচন কমিশন। কথা না শুনলে দেশের আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াগুলিকে। এই তালিকায় রাখা হয়েছে ইউ টিউবকেও। গোটা ব্যাপারে নজরদারি চালানোর জন্য সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।