ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে চলছে আট ধরনের সন্ত্রাসবাদ, সরকারকে রক্ষা করার আর্জি কঙ্গনার
প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে টুইটারে সরব হচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। এবারও তাঁর ব্যতিক্রম হল না। তিনি টুইটারে কেন্দ্র সরকারকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে আট ধরনের সন্ত্রাসবাদীর হাত থেকে রক্ষা করার আবেদন জানিয়েছেন।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেছেন যে নয়ডায় নতুন ফিল্ম সিটি গড়ে তোলা হবে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন কঙ্গনা। কঙ্গনা এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আবেদন করেছেন যে ভারতীয় চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিকে শিল্পে পরিণত করতে এমন অনেক ইন্ডাস্ট্রিকে একত্রিত করুন যাদের স্বতন্ত্র পরিচয় রয়েছে কিন্তু সম্মিলিত পরিচয় নেই। কঙ্গনা এ বিষয়ে একটি খবর শেয়ার করে টুইটারে বলেন, 'যোগী আদিত্যনাথের এই ঘোষণার আমি প্রশংসা করি। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু সংস্কার দরকার। প্রথমে আমাদের একটা বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি দরকার যা ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নামে পরিচিত হবে, আমরা অনেকভাবে বিভক্ত রয়েছি। এটার সুযোগ নেয় হলিউড। একটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যেই বহু ফিল্ম সিটি থাকবে।’
আঞ্চলিক সিনেমাগুলিরও একটা পরিচিতি দরকার, এই চিন্তাধারা থেকে কঙ্গনা লেখেন, 'মানুষ মনে করেন যে ভারতে শীর্ষ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হল হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, এটা ভুল। তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিও নিজেদের জোরে শীর্ষস্থানে রয়েছে এবং এখন একাধিক ভাষায় দেশে সিনেমা তৈরি হচ্ছে। রামোজি হায়দরাবাদে বহু হিন্দি সিনেমার শুটিং হয়েছে।’
কঙ্গনা এরপর সরকারকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে আটটি সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে রক্ষা করার আর্জি জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, 'আমাদের বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে হবে। ১) স্বজন পোষণ সন্ত্রাসবাদ ২)মাদক মাফিয়া সন্ত্রাসবাদ ৩) যৌনতা সন্ত্রাসবাদ ৪) ধর্মীয় ও আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ ৫) বিদেশি ছবি সন্ত্রাসবাদ ৬) পাইরেসি সন্ত্রাসবাদ ৭) শ্রমের শোষণ সন্ত্রাসবাদ ৮) প্রতিভা শোষণ সন্ত্রাসবাদ।’ প্রসঙ্গত কঙ্গনার সঙ্গে মাদক কাণ্ড নিয়ে বহু বলিউড অভিনেতা–পরিচালকই বক–বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছেন। উর্মিলা মাতন্ডকর, জয়া বচ্চন, তাপসি পান্নু এবং আরও অনেকে। প্রায় প্রতিদিনই তাঁদের প্রত্যেককে নিয়ে টুইটারে আপত্তকর মন্তব্য করতে ছাড়েন না কঙ্গনা।