দেশাত্মবোধক এই সিনেমাগুলি আজও অনুপ্রাণিত করে আট থেকে আশিকে
দশকের পর দশক ধরে সিনেমার মাধ্যমে স্বদেশচেতনা জাগ্রত করে রেখেছে বলিউড। এমনই কিছু ছবি যা এখনও আট থেকে আশিকে অনুপ্রাণিত করে, তা দেখে নিন ফটো ফিচারে।
সারা দেশে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে স্বাধীনতা দিবস। সত্তর পেরিয়ে একাত্তরে পা দিল ভারতের স্বাধীনতা। সাত দশকের স্বাধীনতার পর ভারত বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ হয়ে উঠেছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও নানা ধরনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে এগোতে হয়েছে। এসবেরই প্রতিফলন দেখা যায় একের পর এক বলিউড সিনেমায়। দশকের পর দশক ধরে সিনেমার মাধ্যমে স্বদেশচেতনা জাগ্রত করে রেখেছে বলিউড। এমনই কিছু ছবি যা এখনও আট থেকে আশিকে অনুপ্রাণিত করে, তা দেখে নিন ফটো ফিচারে।
[আরও পড়ুন:ভারতবাসী হয়ে দেশ সম্পর্কে এই তথ্যগুলি আপনি জানেন তো ]
পূরব অউর পশ্চিম
মনোজ কুমার অভিনীত সিনেমাটি যুগের পর যুগ ধরে ভারতবাসীকে দেশাত্মবোধের পাঠ পরিয়ে আসছে। বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়ের জন্য এই সিনেমাটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। দেশাত্মবোধের পাশাপাশি এই সিনেমায় মূল্যবোধের বিষয়টিও প্রাধান্য পেয়েছে।
বর্ডার
ভারতের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে জেপি দত্তা পরিচালিত এক ঐতিহাসিক সিনেমা বর্ডার। কীভাবে সীমান্তে শত্রুপক্ষের সঙ্গে লড়ে সেনা-জওয়ানরা দেশকে রক্ষা করে চলেছেন তা অসাধারণ কৃতিত্বের সঙ্গে সিনেমায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেনার উপরে এত ভালো সিনেমা ভারতের সিনেমার ইতিহাসে খুব কমই হয়েছে।
দ্য অ্যাটাকস অব ২৬/১১
নানা পাটেকরের সিনেমা মানেই রুদ্ধশ্বাস কিছু থাকবে। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ছবিটি দেশাত্মবোধক সন্দেহ নেই।
দ্য লেজেন্ড অব ভগত সিং
স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগত সিংয়ের জীবনী ও সেইসময়ের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তৈরি এই সিনেমায় অসাধারণ অভিনয় করেন অজয় দেবগন। সেইসময়ে অনেকগুলি সিনেমা ভগত সিংয়ের দেশভক্তির উপরে হয়েছিল। তবে অজয়ের সিনেমাটিই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এজন্য জাতীয় পুরস্কারও পান এই অভিনেতা।
রং দে বসন্তী
রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা পরিচালিত ও আমির খান অভিনীত রং দে বসন্তী সিনেমাটি আধুনিক যুবসমাজের দেশাত্মবোধের এক অন্য কাহিনি। আধুনিক যুগেও যে দেশাত্মবোধ জীবিত রয়েছে তা এই সিনেমাটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
আ ওয়েডনেসডে
দেশাত্মবোধ শুধু প্রশাসনে থাকলেই আসবে এমন নয়। স্বাধীন ভারতে আমজনতার মধ্যেও তা সমানভাবে থাকে। আর প্রশাসন সঠিক কাজ না করলে সাধারণ মানুষ নিজেরাই নিজেদের সুরক্ষিত করতে পিছপা হন না। এমনই এক ঘটনা নিয়ে তৈরি সিনেমা আ ওয়েডনেসডে। মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ। এবং অনবদ্য অভিনয়ে তিনি সকলের মনজয় করে নিয়েছেন।
সরফরোস
আমির খান ও নাসিরুদ্দিন শাহ অভিনীত সরফরোস দেশবিরোধীদের শায়েস্তা করার এক অনবদ্য চিত্রনাট্যে তৈরি। প্রায় প্রতিবারই স্বাধীনতা দিবসে সিনেমাটি কোনও না কোনও চ্যানেলে দেখানো হয়। এবং এতদিন কেটে যাওয়ার পরও এর জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি।
লগান
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে অন্যভাবে লড়ার এক অনন্য কাহিনি লগানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ক্রিকেট দিয়ে ব্রিটিশদের ধর্মযুদ্ধে হারানো হয়েছে এই সিনেমায়। মাদার ইন্ডিয়া ও সলাম বম্বে-র পরে তৃতীয় সিনেমা হিসাবে ভারত থেকে অস্কারের জন্য মনোনয়ন পায় এই সিনেমাটি।
মিশন কাশ্মীর
মিশন কাশ্মীরে অনবদ্য গল্পকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ভুল করে এক পরিবারকে খুন করে পুলিবাহিনী। সেই পরিবারের ছেলে এক পুলিশ পরিবারের কাছেই বেড়ে ওঠে। পরে সে গোটা ঘটনা জানতে পেরে প্রতিশোধ নেয়, হয়ে ওঠে জঙ্গি। এই সিনেমায় দেশাত্মবোধের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের বিষয়টিও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
চক দে
ভারতীয়রা খেলাধূলা ভালোবাসে। খেলার মাধ্যমেও যে দেশসেবা করা যায় তা বহু সিনেমায় দেখানো হয়েছে। শাহরুখ খান অভিনীত চক দে সিনেমাটি সেটিকেই অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। মহিলাদের খেলা নিয়ে উন্মাদনা শুরু পিছনে এই সিনেমার অবদান রয়েছে বৈকি।
নীরজা
নিজের জীবনকে বাজি রেখে মাঝ আকাশে অপহরণ হওয়া বিমানের যাত্রীদের বাঁচিয়ে মৃত্যুবরণ করা বিমান সেবিকা নীরজা ভানোটের জীবন নিয়ে তৈরি সিনেমা নীরজার অভিনয় করেছেন সোনম কাপুর। সেই ঘটনায় ৩৭৯ জনের মধ্যে ৩৫৯ জন যাত্রীর প্রাণ বাঁচান নীরজা। দেশসেবার এক অন্য নজির তৈরি করেন। পরে মরণোত্তর অশোক চক্র সম্মানে ভূষিত হন তিনি। এই সিনেমাটি ভারতবাসী হিসাবে প্রত্যেককে গর্বিত করেছে।
লক্ষ্য
হৃত্বিক রোশন অভিনীত লক্ষ্য সেনাবাহিনীর জীবন নিয়ে তৈরি ছবি। দেশের প্রতি ভালোবাসার এক অনন্য গল্প এই সিনেমায় বলা হয়েছে। অভিনয়েও হৃত্বিক রোশন নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন।