আদনান সামির পদ্মশ্রী পাওয়া নিয়ে সরব রাজনৈতিক মহল
আদনান সামির পদ্মশ্রী পাওয়া নিয়ে সরব রাজনৈতিক মহল
পদ্মশ্রী
পুরস্কার
প্রাপকদের
তালিকা
প্রকাশ্যে
আসার
পরই
জোর
সমালোচনা
শুরু
হয়েছে।
বিশেষ
করে
সেই
তালিকায়
পাকিস্তানি
গায়ক
আদনান
সামির
নাম
থাকায়
তা
নিয়ে
তীব্র
সমালোচনা
করেছে
মহারাষ্ট্র
নবনির্মাণ
সেনা
(এমএনএস)
ও
ন্যাশনাল
কংগ্রেস
পার্টি
(এনসিপি)।
এনসিপির প্রতিক্রিয়া
এনসিপি এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে এটা পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে এবং যে কোনও কেউ মোদীর প্রশংসা করলেই তাঁকে মোদী পদ্মশ্রী দিয়ে দেবেন। অন্যদিকে এমএনএস জানিয়েছে যে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে তারা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাবে। এনসিপি নেতা তথা এমভিএ সরকারের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মন্ত্রী নবাব মালিক বলেন, ‘পাকিস্তানের গায়ক আদনান সামিকে পদ্ম পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তই মোদীর অন্তর্ভুক্ত বিজেপি সরকারের সত্যিকারের মুখ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এটা প্রমাণ করছে যে কিভাবে পাক নাগরিকরা এদেশের নাগরিকত্ব পাবে এবং মোদীর প্রশংসা করলে জুটে যাবে পদ্ম পুরস্কারও। ভারতীয়দের অবশ্য তাদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে।' তিনি আরও বলেন, ‘এই নীতিটা খুবই স্পষ্ট। বিজেপির বিরুদ্ধে গেলে তোমার মারধর করা হবে। এটা ভারতবাসীর কাছে খুবই অপমানজনক।'
এমএনএসের প্রতিবাদ
এর আগে আদনান সামির পদ্মশ্রী পাওয়া নিয়ে আওয়াজ তোলেন এমএনএসের চলচ্চিত্র শাখার সভাপতি আমে খোপকার। তিনি বলেন, ‘সামি আসল ভারতীয় নাগরিক নন। এমএনএস সাক্ষী থেকেছে যে তিনি আগে কোনও পুরস্কার পাননি। পদ্মশ্রী দিয়ে তাঁকে সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্তের আমরা নিন্দা জানাই এবং সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি।' এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে আমে খোপকার আন্দোলনের হুমকিও দেন। প্রসঙ্গত, আদনান সামির ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে বিনোদনমহল থেকে দেশের রাজনৈতিক মহলে।
আদনান সামির ভারতীয় হয়ে ওঠা
১১৮ জনের পদ্মশ্রী তালিকাতে রয়েছেন আদনানের নাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তালিকাটি আদনানের রাজ্য মহারাষ্ট্রকে পাঠায়। তাঁর ২০১৫ সালের ২৬ মে পাকিস্তানি পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তা নতুন করে মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। তিনি ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি ভাতের নাগরিকত্ব পান। পাকিস্তানের লাহোরে জন্মেছেন আদনান। ২০০১ সালের ১৩ মার্চ আদনান প্রথম ভারতে আসেন এক বছরের জন্য।