কোন কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আপনার হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা রয়েছে
হার্ট ছাড়া আমারা আমাদের জীবন ভাবতেই পারি না। জন্মানোর পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত চলতে থাকে এই স্পন্দন। তবে এই অঙ্গটির প্রতি আমরা অনেকেই যত্ন নি না। আর এই অবহেলাই আমাদের জীবনে একদিন বিপদ ডেকে আনে। যাতে আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। আমাদের অনেকের মধ্যে একটি ধারণা বুকে ব্যাথা হওয়া মানেই হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, তা কিন্তু একদম নয়। বুকে ব্যাথা ছাড়াও এই লক্ষণগুলি হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা রয়েছে। তা আমাদের অনেকেরই অজানা। জেনে নিন লক্ষণগুলি কী কী।
হাতে, পায়ের অসাড়তা
বুকে ব্যাথা ছাড়াও হাতে পায়ের অসাড়তাও হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। অনেকক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর যদি আপনার হাতে পায়ে অসাড়তা থাকে। তাহলে সেই লক্ষণ অবহেলা করা উচিত নয়। যদি এই অসাড়তা প্রায় সময়েই হয় তাহলে তা কিন্তু খারাপ। এই রকম যদি হতে থাকে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। না হলেও হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা দেখা দেয়।
কাঁদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেশি
যখন কোনও ব্যক্তির রক্তনালী সংকুচিত হয়, তখন এটি হাতে ও পায়ের জন্য প্রয়োজনীয় রক্তের পরিমাণকে সীমিত করে। আর তার ফলে পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজিজের সৃষ্টি হয়। এর কারণ, এটি শরীরের অংশগুলিতে দুর্বল করে দেয়। সঠিকভাবে রক্ত চলাচল করতে পারে না। তার ফলে শরীরে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাই এটি হলেও আগেই চিকিৎসকের যোগাযোগ করুন। বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, পেরিফেরাল ধমনী রোগে আক্রান্তদের ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে।
এই লক্ষণগুলি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
বুকে ব্যাথা ছাড়াও যদি কোনও ব্যক্তির পায়ের পেশীতে ব্যথা, পেশীতে ক্লান্তি,
পায়ে জ্বালাপোড়া, উরুতে ব্যাথা, পা ও পায়ের পাতা ফোলা এই গুলি হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতাকে বাড়িয়ে দেয়। তাই এগুলি হলে ফেলে রাখবেন না। না হলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
কীভাবে বুঝবেন আপনার হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা রয়েছে
শ্বাসকষ্ট, বুকে শক্ত হওয়া, বুকে ব্যথা, বুকে অতিরিক্ত চাপ এবং এনজাইনা বা বুকের অস্বস্তি হলে বুঝবেন আপনার হৃদরোগের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়াও ঘাড়, চোয়াল, পেটের উপরের অংশে ব্যাথা হলে বুঝবেন আপনার হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তাই আগেই সতর্ক হন, না হলেই বিপদ আসন্ন।
হু’য়ের মত কী
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) এর মতে, কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতি বছর প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষ প্রাণ দিচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে করোনারি হার্ট ডিজিজ, সেরিব্রোভাসকুলার ডিজিজ, রিউম্যাটিক হার্ট ডিজিজ এবং অন্যান্য অবস্থার মতো রোগ রয়েছে। হার্ট অ্যাটাকের কারণে মোট মৃত্যুর সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ ৭০ বছরের কম বয়সী লোকেদের মধ্যে ঘটে। তবে তরুণদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
হার্টের সমস্যা থাকলে কী করা উচিত
যদি কোন ব্যক্তির হার্টের সমস্যা থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তির দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ নিয়মিত খাওয়া উচিত। কোলেস্টেরলের মাত্রা, হৃদস্পন্দন, রক্তে শর্করার মাত্রা, বডি মাস ইনডেক্স ঠিক রাখা দরকার, না হলেই বিপদ আসন্ন। অ্যালকোহল, তামাক , ধূমপান, জাঙ্ক এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার না খাওয়াই ভালো, এতে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়ে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় হাঁটা, তবে হাঁটুন সময় মেপে