মোদী সরকারের উদ্বেগ বাড়িয়ে বাড়ল বেকারত্বের হার! CMIE -এর রিপোর্ট চমকে দেওয়ার মতো
ধীরে ধীরে একটা জায়গাতে ফিরছে দেশের অর্থনীতি! বাড়ছে জিএসটি কালেকশনও। আর এই অবস্থার মধ্যেই সামনে আসছে অস্বস্তিকর খবর। এপ্রিল মাসে হঠাত করে দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে বেকারত্ব। সম্প্রতি Centre for Monitoring Indian Economy অর্থাৎ CMIE এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট সামনে নিয়ে এসেছে। আর সেই রিপোর্টেই এমনটাই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। শুধু তাই নয়, প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, বেকারত্ব রেট মার্চ মাসে'র ৭.৬০ শতাংশের তুলনায় বেড়ে ৭.৮৩ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। আর সেই কারণে গ্রামীণ এলাকার তুলনায় শহরে বেকারত্বের হার বেড়ে গিয়েছে।

এই সমস্ত শহরে বেড়েছে বেকারত্ব
CMIE -এর তরফে এই বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। গোটা দেশেই বেকারত্ব নিয়ে এই সমীক্ষা চালায়। আর সেই সমীক্ষাতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। CMIE -এর রিপোর্ট অনুসারে এপ্রিল মাসে বেকারত্বের হার বেড়েছে। আর তা মার্চ মাসের বেকারত্বের হার ৮.২৮ শতাংশের তুলনায় বেড়ে ৯.২২ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে গ্রামীণ এলাকাতে একটা আলাদা প্রভাব পড়েছে। সেখাবে এপ্রিলে বেকারত্বের হার, মার্চের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। CMIE-এর রিপোর্ট বলছে, গ্রামীণ এলাকাতে বেকারত্বের হার ৭.২৯ শতাংশ থেকে পড়ে ৭.১৮ শতাংশতে এসে গিয়েছে। রিপোর্ট বলছে, সবথেকে বেকারত্বের হার বেড়েছে হরিয়ানা এবং রাজস্থানে। রাজস্থানে এই হার ৩৪.৫ শতাংশে চলে এসেছে। এবং রাজস্থানে ২৮.৮ শতাংশ।

কী বলছেন অর্থনীতির কারবারীরা
অর্থনীতিবিদদের মতে, হঠাত করে ঘুরে দাঁড়ানো অর্থনীতি এবং সমস্ত জিনিসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণেই বেকারত্ব বাড়ছে। মার্চ মাসে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি (Consumer inflation) হঠাত করে বেড়ে গিয়েছে। ১৭ মাসে সর্বাধিক বেড়ে হয়েছে ৬.৯৫ শতাংশ। যার প্রভাব কর্মসংস্থানের উপর পড়ছে বলেই মনে করছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।

CMIE-এর তরফে কি জানানো হচ্ছে?
এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সিএমআইই-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহেশ ব্যাস। বলছেন, দেশে ভালো চাকরির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে না। আর এর দায় সরকারেরই। কারন সরকারই তা করতে পারছে না বলে দাবি মহেশের। শুধু তাই নয়, বহু মানুষের চাকরি চলে যাচ্ছে বলেও জানান সিএমআইই-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর। যার জেরে কর্মসংস্থানের উপর হতাশা বাড়ছে বলে দাবি। আর হতাশা থেকেই অনেকে চাকরির খোঁজা থেকে সরে যাচ্ছে বলেও সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে CMIE-এর তরফে। যা মোটেই ভালো দিক বলেও ব্যাখ্যা Centre for Monitoring Indian Economy-এর।