
দেশে পূর্ণ কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজন বার্ষিক ১৩.৫২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ, দাবি রিপোর্টের
দেশের মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হল বেকারত্ব। দেশে বেকারত্বের হার দিন দিন বাড়ছে। রাজনৈতিক নেতা থেকে মন্ত্রী, প্রতিশ্রুতিই সার। কোনও ফলাফল আসছে না। পিপলস কমিশন অন এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড পিপলস কমিশনের তরফে এই বিষয়ে একটি সমীক্ষা করা গিয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, দেশে পূর্ণ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে সরকারকে একটি 'কাজের অধিকার' আইন প্রণয়ন করতে হবে। পাশাপাশি বিনিয়োগ করতে হবে ১৩.৫২ লক্ষ কোটি টাকা। যা দেশের জিডিপির প্রায় ৫ শতাংশ। সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, তবেই দেশ থেকে বেকারত্ব দূর হবে।

প্রতিটি নাগরিকের কর্মংস্থান নিশ্চিত করতে চাই আইন
কর্মসংস্থান ও বেকারত্ব ইস্যুতে পিপলস কমিশন মঙ্গলবার তাদের প্রতিবেদন 'কাজের অধিকার: ভারতের সত্যিকারের সভ্য ও গণতান্ত্রিক জাতি হওয়ার জন্য সম্ভাব্য এবং অপরিহার্য' প্রকাশ করেছে। সেখানেই দাবি করা হয়েছে, খুচরো কিছু প্রকল্প বা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের পূর্ণ কর্মসংস্থান লাভ করা সম্ভব নয়। এর জন্য আইনি, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সর্বোরি অর্থনৈতিক দিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু পরিবর্তন করা প্রয়োজন। প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, দেশের প্রতিটি নাগরিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে কাজের অধিকার আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।

প্রয়োজন বার্ষিক ১৩.৫২ কোটি টাকা বিনিয়োগ
পিপলস কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২১.৮ কোটি লোকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ১৩.৫২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন। যারজন্য দেশের জিডিপির প্রায় ৫ শতাংশ ব্যয় করতে হবে। গবেষণায় জিডিপি ১ শতাংশ বৃদ্ধির প্রয়োজন বলেও জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে দেশের জিডিপি কমপক্ষে ১ শতাংশ বাড়ানো প্রয়োজন। পাশাপাশি রিপোর্টে বলা হয়েছে বর্তমানে দেশে ২১.৮ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন। প্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারেন্টি প্রকল্পে যাঁরা আছেন, তাঁর বাদ দিয়েই এই সংখ্যা হিসাব করা হয়েছে।

স্বল্প মেয়াদের চাকরি বেকারত্বে নেতিবাচক প্রভাব
রিপোর্টে বলা হয়েছে, কর্মসংস্থান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা ও উৎপাদন বাড়বে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পূর্ণ কর্মসংস্থান অর্জনের জন্য সম্পদের ঘাটতি বলে যে অজুহাত দেওয়া হয় তা অত্যন্ত দুর্বল যুক্তি। অভিজাতদের ধারণা রয়েছে, পূর্ণ কর্মসংস্থানের ফলে তাঁদের ওপর মানুষের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।পাশাপাশি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে দেশের ৩০.৪ কোটি মানুষের ঠিকঠাক কোনও কর্মসংস্থান রয়েছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পূর্ণ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে পারলে দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের গতি বাড়বে। গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ে উঠবে। পাশাপাশি রিপোর্টে জানানো হয়, বর্তমানে ভারতের বাজারে স্বল্প মেয়াদের চাকরি দেওয়া হয়। যার জেরে দেশে বেকারত্বের হারের কোনও পরিবর্তন হয় না।
আমূলের পরে এবার মাদার ডেয়ারি, দুধের দাম বাড়াল লিটার প্রতি ২টাকা