ব্যাঙ্কের পাসবইয়ে আসছে নানা রদবদল, জেনে নিয়ে আপডেট হোন এখুনি
এবারে পাসবই আপডেট করাতে গেলে অনেক নতুন কিছু চোখে পড়তে পারে। এরকম আর কী কী তথ্য জানা গিয়েছে, তা আগেভাগে জেনে নেওয়া যাক।
ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের লেনদেনের পর্যাপ্ত তথ্য পাসবইয়ে থাকতে হবে। যাতে গ্রাহকদেরই আরও উন্নত পরিষেবা প্রদান করা যায়। ফলে ব্যাঙ্ক এন্ট্রির বিস্তারিত তথ্য এবার থেকে পাসবইয়ে থাকবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। কারণ অভিযোগ, বারবার বলা সত্ত্বেও কিছু ব্যাঙ্ক লেনদেনের সমস্ত তথ্য পাসবইয়ে বা অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্টে দেয় না। এর ফলে অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা তা ক্রস চেক করতে পারে না। এবারে পাসবই আপডেট করাতে গেলে অনেক নতুন কিছু চোখে পড়তে পারে। এরকম আর কী কী তথ্য জানা গিয়েছে, তা আগেভাগে জেনে নেওয়া যাক।
তথ্য ১
ব্যাঙ্ককে 'ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স কভার' দিতে হবে। সমস্ত কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক ও বিদেশি ব্যাঙ্কের শাখা যেগুলি ভারতে রয়েছে সেগুলি ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স ও ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশনের দ্বারা বীমা করানো হতে হবে। কারণ ব্যাঙ্কের গোলমাল হলে ব্যাঙ্কের ডিপোজিট থেকে তা শোধ করা হবে। ব্যাঙ্কের প্রতিটি গ্রাহকের ১ লক্ষ টাকার বীমা থাকবে। [আরও পড়ুন : ব্লাড গ্রুপ থেকে ফোন কলের লিস্ট, আপনার সব তথ্য মিলবে এক জায়গায়!]
তথ্য ২
আরবিআইয়ের নির্দেশ অনুযায়ী সমস্ত লেনদেনের হিসাব পাসবইয়ে থাকতে হবে। থার্ড পার্টি পেমেন্টের ক্ষেত্রে যিনি টাকা দিচ্ছেন তাঁর নাম, কী ধরনের লেনদেন, ট্রান্সফার করা ব্যাঙ্কের নাম, যদি ইন্টার ব্রাঞ্চ লেনদেন হয় তার উল্লেখ থাকতে হবে। [ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের টিডিএস কাটা থেকে কীভাবে বাঁচবেন]
তথ্য ৩
ব্যাঙ্কের চার্জের ক্ষেত্রে কী ধরনের চার্জ (ফি/কমিশন/পেনাল্টি), চার্জের কারণ, চেক নম্বর রিটার্ন করলে তার নম্বর, ড্রাফ্ট করলে তার ফি, চেক কালেকশন চার্জ. চেক বইয়ের নম্বর, এসএমএস অ্যালার্টের টাকা কাটলে তার উল্লেখ, এটিএম ফি কাটতে তার উল্লেখ, বাড়তি নগদ তুললে তার উল্লেখ থাকবে পাসবইয়ে।
তথ্য ৪
ভুল খাতে টাকা কাটলে তা ফিরিয়ে দেওয়া সংক্রান্ত তথ্যের উল্লেখ। কবে ঘটনা ঘটেছে। কেন এমন ঘটেছে সমস্ত সংক্ষেপে উল্লেখ থাকতে হবে।
তথ্য ৫
ঋণ ও ঋণের সুদের হিসাব, তার সঙ্গে ঋণ অ্যাকাউন্ট নম্বর, অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের নাম- এই সমস্তকিছুর উল্লেখ থাকতে হবে ব্যাঙ্কের পাসবইয়ে।
তথ্য ৬
নতুন ফিক্সড ডিপোজিট, রিকারিং ডিপোজিট, রিসিপ্ট নম্বরের উল্লেখ থাকবে পাসবইয়ে। এছাড়া অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের নাম তো থাকতেই হবে।
তথ্য ৭
পিওএস বা পয়েন্ট অব সেল-এর উল্লেখ ও থাকবে এবার পাসবইয়ে। যেমন লেনদেনের দিন, সময়, পরিচয় নম্বর, কোন জায়গা থেকে কার্ডে লেনদেন হয়েছে, তার সমস্ত তথ্য থাকবে।
তথ্য ৮
নগদ জমার ক্ষেত্রে পাসবইয়ে স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে। কে টাকা জমা করলেন- গ্রাহক নিজে নাকি থার্ড পার্টির মাধ্যমে নগদ জমা হল তার উল্লেখ থাকতে হবে।
তথ্য ৯
থার্ড পার্টি রিসিপ্ট যেমন- যিনি ফান্ড ট্রান্সফার করছেন তাঁর নাম, ইন্টার-ব্রাঞ্চ নাকি আরটিজিএস, নগদ কী ধরনের ট্রান্সফার তার বিবরণ এবং ট্রান্সফার করা ব্যাঙ্কের বিস্তারিত তথ্যও এবার পাসবইয়ে থাকবে।
তথ্য ১০
জমা টাকায় কত সুদ হল তার হিসাব যেমন সেভিংস নাকি ফিক্সড থেকে টাকা এসেছে, সেই অ্যাকাউন্ট বা রিসিপ্ট নম্বর সবকিছু তথ্য এবার পাসবইয়েই পাওয়া যাবে।