নীতি আয়োগের 'সংকট' রিপোর্ট! 'জল শক্তি' কতটা নজর কাড়বে, অপেক্ষার প্রহর
জল নিয়েই যত আলোচনা। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র। কেননা ভারত জুড়েই জল সংকট দেখা হিয়েছে।
জল
নিয়েই
যত
আলোচনা।
শহর
থেকে
গ্রাম
সর্বত্র।
কেননা
ভারত
জুড়েই
জল
সংকট
দেখা
দিয়েছে।
চেন্নাইয়ে
জলাশয়
ফাঁকা।
অন্যদিকে
কর্নাটকের
জলের
প্রধান
উৎস
কাবেরিতে
জল
নেই।
পাশের
রাজ্য
মহারাষ্ট্রের
পরিস্থিতিও
উদ্বেগজনক।
খবর
ভাল
নয়,
ভারতের
অন্য
অংশেরও।
যদি এই সব সমস্যাগুলোকে এক জায়গায় করা যায়, তাহলে চলে আসে জল সংকট সমাধানের উদ্যোগ। তাই এবারের বাজেটে জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক কতটা গুরুত্ব পায় এখন সেটাই দেখার।
আর্বান ওয়াটার, ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর সম্রাট বসাক বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন আগে ড্রিঙ্কিং ওয়াটার, ক্লিন গঙ্গা প্রোগ্রাম কিংবা সিউয়ারেজ, সব আলাদা আলাদা দফতর ছিল। এখন সবগুলিকে একমন্ত্রকের অধীনে আনা হয়েছে। নাম জল শক্তি।
তবে বলা যেতেই পারে আগের থেকে জল নিয়ে সংকট ঘোরতর হয়েছে। ফলে রাজনৈতিক পর্যায়েই হোক কিংবা রাজ্য ও কেন্দ্র, সব পর্যায়ের উদ্যোগ জরুরি হয়ে পড়েছে।
সব থেকে বড় সমস্যা মাটির নিচের জল নিয়ে। যা খাবার জল হিসেবে ব্যবহার করা ছাড়াও চাষের কাজেও ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের মধ্যে ভারতেই সব থেকে বেশি মাটির নিচের জলের ওপর নির্ভরতা রয়েছে। ভারতে সারা বছরে ৩৩ মিলিয়ন বোর ওয়েল দিয়ে ২৫০ কিউবিক কিলোলিটার জল ব্যবহার করা হয়। জল নিয়ে সংকটের মধ্যেও বোরওয়েল খনন করা হচ্ছে। যার জন্য গর্ত করতে হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৮০০ ফুট।
নীতি আয়োগের রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী ১০ বছরের মধ্যে ভারতে ভৌম জল শেষ হয়ে যাবে। আর ২০৩০ সাল নাগাদ ভারতের প্রায় ৪০ শতাংশ অংশ খাবার জল পাবে না।
সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে উপায় একটাই, জল সংরক্ষণ করা। আর কৃষিক্ষেত্রে ভৌমজলের পরিমাণ একেবারে বাদ দেওয়া। বৃষ্টির জল সংরক্ষণের পাশাপাশি প্রত্যেক অ্যাপার্টমেন্টে জল পুনব্যবহারযোগ্য করে তোলার ব্যবস্থা থাকা জরুরি হয়ে পড়েছে।
বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে ছিল সবার জন্য পাইপলাইনে জল সরবরাহ। পাশাপাশি সরকারের তরফে বলা হয়েছিল ১০০ শতাংশ তরল বর্জ্যকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা। ফলে এই সবের পিছনে কেন্দ্র কত টাকা বরাদ্দ করে এখন সেটাই দেখার।