আজই হতে পারে ঘোষণা, ফ্লিপকার্ট-ওয়ালমার্ট চুক্তি বিষয়ে বিশদে জেনে নিন
আজই মার্কিন সংস্থা ওয়ালমার্ট, ভারতের ই-কমার্স কোম্পানি ফ্লিপকার্টের অংশীদারি অর্জনের চুক্তির কথা ঘোষণা করতে পারে। ৬০ শতাংশ অংশীদারির জন্য ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি হবে বলে মনে করা হচ্ছ
আজই মার্কিন সংস্থা ওয়ালমার্ট, ভারতের ই-কমার্স কোম্পানি ফ্লিপকার্টের অংশীদারি অর্জনের চুক্তির কথা ঘোষণা করতে পারে। ফ্লিপকার্টের ৬০ শতাংশ অংশীদারির জন্য মার্কিন সংস্থাটির সঙ্গে ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এটিই হবে ওয়ালমার্টের সবচেয়ে বড় অধিগ্রহন। গুগলের পেরেন্ট সংস্থা অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেটেড-ও সম্ভবত এই চুক্তিতে ওয়ালমার্টের পার্টনার হবে। তারা প্রায় 15 শতাংশ মালিকানা অর্জন করবে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন:এখন থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে এভাবেও, মিলবে পছন্দের রেস্তোরাঁর খাওয়ার, ওলা ক্যাবও]
২০০৭ সালে বেঙ্গালুরুতে যাত্রা শুরু করেছিল ফ্লিপকার্ট। শচীন বানসাল ও বিনি বানসালের এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। এর আগে দুজনেই বহুজাতিক ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনের কর্মী ছিলেন।
অল্প দিনের মধ্যেই বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে সংস্থাটি। প্রথম ভারতীয় ই-কমার্স কোম্পানি হিসেবে তাদের ব্যবসা ১০০ কোটি ছাড়ায়। এখন এই সংস্থাটির আওতায় ৮০টিরও বেশি ক্যাটেগরির 8০ লক্ষ পণ্য বিক্রি হয়। এছাড়া এর রেজিস্টার্ড কাস্টমারের সংখ্যা দশ কোটিরও বেশি।
জাপানের সফটব্যাঙ্ক গ্রুপ কর্পোরেশনের হাতে ফ্লিপকার্টের এক-পঞ্চমাংশ মালিকা রয়েছে। ফ্লিপকার্টের অন্যান্য বড় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে টাইগার গ্লোবাল, ন্যাসপার্স, এবং অ্যাক্সেল। বানসালরা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা হলেও তাদের হাতে এই মুহূর্তে খুব বেশি মালিকানা নেই। বিজনেস ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্মের রিপোর্ট অনুযায়ী এই বিনিয়োগরাকী কোম্পানিগুলির মালিকানা থেকে মাত্র ৫ শতাংশের বেশি অংশীদারি রয়েছে তাদের হাতে।
গত বছর কল্যাণ কৃষ্ণমূর্তি ফ্লিপকার্টের সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেন। এর আগে তিনি টাইগার গ্লোবালের এক্সিকিউটিভ মেম্বার ছিলেন। বিনি বানসাল সম্পুর্ণ গোষ্ঠীর সিইও হন। এর মধ্যে আছে ফ্যাশন পোর্টাল মিন্ত্রা-যাবং, পেমেন্ট ইউনিট ফোনপে এবং লজিস্টিক ফার্ম ইকার্ট।
ফ্লিপকার্টের মতো ই-কমার্স সংস্থাগুলির ভারতে ভবিষ্যত খুব উজ্জ্বল বলে জানিয়েছে গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস সংস্থা মরগ্যান স্ট্যানলি। তাদের মতে, এক দশকে ভারতের ই-কমার্স মার্কেট ২00 বিলিয়ন ডলার ছাপিয়ে যাবে। এর অন্যতম কারণ ভারতে মোবাইল ডেটার খরচ হু হু করে কমছে। এতে অনলাইন কেনাকাটা আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে চলে আসছে।
আবার অর্থনীতির গবেষক ফরেস্টারের দাবি এই মুহূর্তে ভারতের মোট অনলাইন খুচরো বাজারের প্রায় ৪০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ফ্লিপকার্টের হাতে।
ভারতে
ই-কমার্সের
বাজার
যে
বাড়ছে
তার
প্রমাণ
পাওয়া
গিয়েছে
ফ্লিপকার্টের
অন্যতম
প্রতিদ্বন্দ্বী
সংস্থা
অ্যামাজনের
কর্মকান্ডেও।
ভারতের
বাজারে
তারা
৫০০
কোটি
টাকারও
বেশি
বিনিয়োগ
করবে
বলেছে।
সম্প্রতি
অ্যামাজন-এর
প্রতিষ্ঠাতা
জেফ
বেজোস
শেয়ারহোল্ডারদের
একটি
চিঠিতে
জানিয়েছেন,
ভারতেই
আমাজনের
ব্যবসা
সবচেয়ে
দ্রুত
বাড়ছে।
তিনি
বলেন,
অ্যামাজন
প্রাইম
এবছরই
ভারতে
এসেছে।
প্রথম
বছরের
সদস্য
সংখ্যার
নিরিখে
তা
বিশ্বের
অন্যান্য
সব
দেশকে
ছাপিয়ে
গেছে।
এর
পাশাপাশি
২০১৪
সালে
মিন্ত্রা
ও
যাবং
সংস্থাকে
অধিগ্রহন
করে
থেকে
ভারতের
অনলাইন
ফ্যাশন
মার্কেটের
আধিপত্য
অর্জন
করেছে।
কাজেই ওয়ালমার্টের জন্য ফ্লিপকার্ট চুক্তিটি ভারতের ই-কমার্স বাজার ধরার জন্য অত্যন্ত লাভজনক। পাশাপাশি মার্কেটিং থেকে লজিস্টিক্স, খুচরো বাজারে ব্যবসায় ওয়ালমার্টের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হবে ফ্লিপকার্ট। ,
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের পর ভারতে পা রাখতে চলেছে ওয়ালমার্ট। চিনে কিন্তু সেদেশের আলিবাবা ই-কমার্স সংস্থার সঙ্গে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছে মার্কিন সংস্থাটি। ভারতে তারা কতটে সুবিধা করতে পারে সেটাই দেখার।
[আরও পড়ুন:ফ্লিপকার্ট অধিগ্রহনের দৌড়ে এল এই সংস্থা]