ভারতে মোবাইল ফোনের রজত-জয়ন্তী! দেশেজুড়ে ২জি পরিষেবা মুছে ফেলার ডাক মুকেশ আম্বানির
আগে মানুষের জীবনে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানই মৌলিক চাহিদা ছিল, আজ সময়ের সাথে সাথে এসবের পাশাপাশি মোবাইল ফোনও যেন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু আজ যেই মোবাইল ফোন সাড়া বিশ্ব জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আমাদের দেশে এর প্রচলন খুব বেশি দিনের নয়। দেশে মোবাইল ফোনের ২৫ বছর পূর্তিতে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি মতে দেশকে ২জি-র থেকেও এই মহূর্তে আরও উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
৩১শে জুলাই,দেশে মোবাইল ফোনের রজত-জয়ন্তী বর্ষ
সালটা ১৯৯৫, ২৫ বছর আগে ঠিক আজকের দিনেই দেশে মোবাইল ফোনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল। আর এই মোবাইল ফোনের প্রথম ব্যবহারকারী ছিলেন বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। তিনিই প্রথম মোবাইল ফোনে কথা বলেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সুখ রামের সঙ্গে।
২জি ভুলে ৪জি হতে হবে ডিজিটাল ইন্ডিয়াকে, দাবী মুকেশ আম্বানির
দেশে মোবাইল আসার পর থেকে তা ক্রমেই প্রযুক্তিগত দিক থেকে তা আরও উন্নত হয়েছে, ফোনকে স্মার্টফোন করে তুলেছে ইন্টারনেট। মোবাইল ফোনের ২৫বছর পূর্তি উপলক্ষে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি শুক্রবার একটি ভিডিও বার্তাতে জানান, "ভারতবাসীকে ২জি থেকে আরও উন্নত নেটওয়ার্ক পরিষেবা ব্যবহার করতে হবে। ২-জির ব্যবহার বন্ধ করে পুরোপুরি ৪জি পরিষেবা ব্যবহারে জোর দিতে হবে। এছাড়াও ভারতের টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য বেশ কয়েকটি বিষয়ে পরামর্শ দেন আম্বানি।"
৫জি চালুর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে দেশ
মুকেশ আম্বানির মতে, "দেশে এখনও ২জি-র ৩০ কোটি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে যারা হাইস্পিড ইন্টারনেটর সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না ৷ তাদের ফিচার ফোনগুলি সেই পরিষেবা বহন করতে পারছেনা। এদিকে ইতিমধ্যেই দেশে ৪জি ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত এবং ৫জি চালুর দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে দেশ ৷" তাই দেশকে শীঘ্রই ২জি মুক্ত করতে হবে বলে জানান আম্বানি।
গ্রামে মোবাইল ফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৫০.৭ কোটি, শহরে ৬৪.৪ কোটি
সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, আমাদের দেশে গ্রামে মোবাইল ফোনের মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০.৭ কোটি এবং শহরে ৬৪.৪ কোটি। তাই দেশে এই মুঠোফোনের রমরমা নেহাৎ কম নয়। মাত্র ২৫ বছরেই গোটা দেশকে কব্জা করে ফেলেছে এই মোবাইল ফোন, উত্তরোত্তর বাড়ছে বিক্রিও।