বড় পতন সেনসেন্সে, লাল জোনে শেষ করল নিফটি! রক্তক্ষরণ অব্যাহত থাকল আদানি গোষ্ঠীর
আদানির কারনেই কি দিনের শেষে এমন ধস। একেবারে লাল জোনে এসে থামল নিফটি। এমনকি সেনসেন্সের অনেকটাই পতন ঘটেছে।
একদিকে যখন বাজেট পেশ করছেন নির্মলা সীতারমন! অন্যদিকে তখন উত্থান-পতন দেখা গেল ভারতীয় শেয়ার-বাজারে। বাজেটের শুরুতেই শেয়ার বাজারে ব্যাপক উত্থান দেখতে পাওয়া যায়। একটা সময় সেনসেক্স ১২০০ পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছিল। যা বিনিয়োগকারীদের মুখে আশার আলো দেখিয়েছিল।
কিন্তু দিনের শেষে খেলা ঘুরতে শুরু করে। ধীরে ধীরে নামতে শুরু করে গ্রাফ!
দিনের শেষে সেনসেক্স শুধুমাত্র ১৫৮ পয়েন্টে এসে বন্ধ হয়েছে। শুধু সেনসেন্সই নয়, নিফটিতেও দিনের শেষে বড় ধাক্কা দেখা গিয়েছে। নিফটির পতন একেবারে লাল-জোনে এসে ঠেকে যায়। ৪৫.৮৫ অঙ্কে লোকসানের সঙ্গে বন্ধ হয়। সেক্টোরল ইন্ডেক্সের বিষয়ে আলোচনা করলে দেখা যাবে কমোডিটি, টেলিকমিউনিকেশন, এনার্জি, ওয়েল এন্ড গ্যাস, পাওয়ারের শেয়ারে বড় ধাক্কা খেয়েছে।
তবে সবথেকে বেশি ধাক্কা খেয়েছে ইন্সোরেন্স সংস্থার শেয়ারে। বাজেটে বীমার আয়ের উপর কর ছাড়ের সীমা সীমিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ইনস্যুরেন্স সেক্টরের উপর চাপ বাড়ে।
অন্যদিকে আজ বুধবার ফের আদানি গ্রুপের শেয়ারে বড়সেড় ধাক্কা লেগেছে। আদানি গ্রুপকে নিয়ে তৈরি হয় বিতর্কের পর থেকে সংস্থার শেয়ার পড়তে শুরু করে। এই অবস্থায় রক্তক্ষরণ আজও অব্যাহত থাকল সংস্থার। বিশেষ করে আদানি, পোর্ট, আদানি গ্রিন, আদানি উইলমারের মতো স্টকগুলিতে বড় ধাক্কা লেগেছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, আমেরিকার গবেষণা সংস্থা হিনডেনবার্গ সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর একটি রিপোর্ট সামনে আনে। আদানি গ্রুপের স্টকের দামে কারচুপির অভিযোগ করে তাঁরা। এমনকি আদানির পাঁচটি সংস্থা শেয়ার বাজার থেকে ছিটকে যেতে পারে বলেও দাবি করা হয় ওই রিপোর্টে।
এই সমস্ত সংস্থার হাতে নগদ অর্থ নেই! যার ফলে মোটা অঙ্কের ঋণ নাকি মেটাতে পারছে না মোদী ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীর সংস্থা। আর সেই কারণেই যাবতীয় জটিলতা বলে হিনডেনবার্গ জানাচ্ছে। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।