করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় এবার ঋণ দেবে রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি, সুদের হার ঘোষণা করল এসবিআই
করোনা (coronavirus) আক্রান্তদের চিকিৎসায় এবার ধার দেবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি (Public sector banks)। কোনও ব্যক্তি নিজে আক্রান্ত হলে কিংবা পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ধার নিতে পারবেন। ব্যাঙ্কে পরিভ
করোনা (coronavirus) আক্রান্তদের চিকিৎসায় এবার ধার দেবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি (Public sector banks)। কোনও ব্যক্তি নিজে আক্রান্ত হলে কিংবা পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ধার নিতে পারবেন। ব্যাঙ্কে পরিভাষায় এই ধার হবে আনসিকিওরড। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এমন ভাবে আছড়ে পড়েছে, তাতে সব ধরনের আয়ের পরিবারগুলির ওপরে প্রভাব পড়েছে।
দেওয়া হবে তিন ধরনের ঋণ
বর্তমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি তিনধরণের ঋণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক, হাসপাতাল/ডিসপেনসরি, প্যাথলজিক্যাল ল্যাব, অক্সিজেন প্রস্তুতকারক কিংবা সরবরাহকারী, ভেন্টিলেটর কিংবা ভ্যাকসিন আমদানিকারী, করোনার সঙ্গে যুক্ত ওষুধের পরিবহণ সংস্থা এবং যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, সেইসব ব্যক্তি।
করোনার চিকিৎসায় ব্যাঙ্কের ঋণ
ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন এবং স্টেট ব্যাঙ্কের তরফে ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, করোনার চিকিৎসার জন্য আনসিকিওরড পার্সোনাল লোন দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। ৫ বছরে তা পরিষোধ করা যাবে। যার জন্য এসবিআই সুদ নেবে ৮.৫ শতাংশ। তবে অন্য ব্যাঙ্কগুলি এব্যাপারে সুদের হার এখনও ঘোষণা করেনি।
বেসরকারি ক্ষেত্রকেও ঋণ
যেসবসংস্থা স্বাস্থ্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তাঁদেরকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। তালিকায় রয়েছে বর্তমান হাসপাতাল, নার্সিংহোম যারা কিনা অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করতে চায়, পাশাপাশি সেই সব হাসপাতালে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় রাখতে ঋণ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সুদের হার ৭.৫ শতাংশ। সময়কাল ৫ বছর। তবে এই ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে ১০০ সতাংশ গ্যারান্টি কভার দেবে ন্যাশনাল ক্রেডিট গ্যারান্টি ট্রাস্টি কোম্পানি লিমিটেড। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস আগেই ঘোষণা করেছিল।
দেওয়া হচ্ছে ব্যবসায়িক ঋণও
এছাড়াও স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিকে ব্যবসায়িক ঋণও দেওয়া হচ্ছে। মেট্রো শহরগুলিতে পরিষেবার জন্য পরিকাঠামো বাড়াতে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে ভ্যাকসিন এবং ভেন্টিলেটর পরিষেবা। তবে শহরের একেবারের প্রথমস্তরে থাকা স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিকে ২০ কোটি টাকা পর্যন্তও ঋণ দেওয়া হবে। দ্বিতীয়স্তর থেকে চতুর্থস্তরে থাকা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। ঋণ শোধের সময়সীমা ১০ বছর।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আগেই সাহায্যের কথা জানিয়েছে
৫ মে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে সাহায্যের কথা জানানো হয়েছিল। ৫০ হাজার কোটির সাহায্যের কথা জানিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ব্যক্তি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, এমএসএমই-দের ক্ষেত্রে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও তিন লক্ষ কোটি টাকার ঋণ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।