১ তারিখে দেশবাসীর জন্য বাজেটে কোন চমক, নজরে রাখুন লাইভ অপডেট
বাজেটের খুঁটি-নাটি থেকে সমস্ত বিশ্লেষণই মুহূর্তের মধ্যে 'ডেইলিহান্ট' পৌঁছে দেবে পাঠকদের। ৩৬০ ডিগ্রি লাইভ-কভারেজে সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য ১ তারিখ সকাল থেকে মিলবে'ডেইলিহান্ট'-এ।
দেশজুড়ে বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। যদিও খাতায় কলমে এখনও সাধারণ নির্বাচন ১ বছর পরে। কিন্তু, যে ভাবে মোদীর সরকার এক ভোট এক দেশের পক্ষে সওয়াল শুরু করেছে তাতে বিরোধীদের মধ্যে ফিসফিসানি শুরু হয়ে গিয়েছে। তারমধ্যে বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও বিধানসভা নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচন একসঙ্গে করার পক্ষে সওয়াল করেছেন তাতে বিরোধীদের মধ্যে সন্দেহের মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছে।
চলতি বছরেই রয়েছে একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের রেশ মেলাতে না মেলাতেই শুরু হয়ে যাবে লোকসভা নির্বাচনের দিন গোনা। এই পরিস্থিতিতে ১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
বাজেট কেমন হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যে তরজাও চলছে জোরকদমে। জিএসটি চালু হয়ে যাওয়ায় এবার শুল্ক বা রাজস্ব আদায়ের বিষয়টি বাজেটে সেভাবে গুরুত্ব পাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় এখন সকলের নজর প্রত্যক্ষ করদানের উপরে। এই খাতে মোদী সরকার দেশবাসীকে কতটা স্বস্তি দিতে পারেন সে দিকেই নজর এখন সকলের।
এর সঙ্গে অবশ্যই মোদী সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ কর্মসংস্থানের দিকটি। স্কিলড এবং আনস্কিলড ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার কর্মসংস্থান তৈরিতে কী ভাবে পদক্ষেপ নেয় সেদিকে নজর থাকবে সকলের। কারণ, কর্মসংস্থান তৈরি হলে যে বৃত্তাকারে আর্থিক উন্নতির সম্ভাবনা তৈরি হয় তাতে কারোরই দ্বিমত নেই। সেই কারণে একাধিক নির্বাচনের দামামায় কর্মসংস্থান বাজেটে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। কৃষিক্ষেত্রে এবং পরিকাঠামো উন্নয়নেও মোদী সরকার কতটা বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে তাও নজরে থাকছে।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটা মহলের মতে, একদিকে কর্মসংস্থান-এর মতো বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া এবং পরিকাঠামো উন্নয়নকে আরও গতিশীল করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। নির্বাচনের আবহে মোদী সরকারকে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে যা জনবিরোধী বলে বোধ হবে কিন্তু দেশের বুনিয়াদ তৈরিতে এটা হয়তো সহায়ক হবে। উল্টোদিকে আবার জনবিরোধী সিদ্ধান্ত ভোটব্যাঙ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। যদিও খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমনটা ভাবছেন না। তিনি দেশবাসীকে এক স্বচ্ছ এবং ঐতিহাসিক বাজেট দেবেন বলেই দাবি করেছেন। মোদীর এই দাবিতে কিছুটা হলেও মাত্রা যোগ করেছে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট। যাতে ২০১৮-১৯ সালে বৃদ্ধির হার ৭ থেকে ৭.৫ শতাংশে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সন্দেহ নেই বাজেটের এমন সম্ভাবনার সব তুল্য-মূল্য বিচার ১ তারিখ সকাল ১০টার পর থেকে শেষ হয়ে যাবে। সামনে চলে আসবে প্রতিটি মুহূর্তের আপডেট। বাজেটের খুঁটি-নাটি থেকে সমস্ত বিশ্লেষণই মুহূর্তের মধ্যে 'ডেইলিহান্ট' পৌঁছে দেবে পাঠকদের। ৩৬০ ডিগ্রি লাইভ-কভারেজে সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য ১ তারিখ সকাল থেকে মিলবে 'ডেইলিহান্ট'-এ। বাংলা ডিজিটাল মিডিয়ায় এর আগে এমন বাজেট কভারেজ কেউ প্রত্যক্ষ করেননি। তাই বাজেটের সমস্ত আপডেট পেতে ক্লিক করুন 'ডেইলিহান্ট'-এ। ক্লিক করতে ভুলবেন না 'ডেইলিহান্ট'-এর পেজ। বাজেট-এর তথ্য জেনে রাখা সকলেরই দরকার। নজর রাখুন 'ডেইলিহান্ট'-এ।