অবসরের আগেই হতে পারেন কোটিপতি, প্রতিমাসে অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা
অবসর (retirement) গ্রহণের আগেই কোটিপতি। বার্ধক্যকে সুরক্ষিত করতে যা জরুরি। কেননা প্রতিবছরেই সুদের হার কমছে। তাই অবসরের সময় অর্থ সংস্থান জারি রাখতে চাকরি শুরুর দিন থেকে প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। যত তাড়াতাড়ি কেউ টাকা জমাত
অবসর (retirement) গ্রহণের আগেই কোটিপতি। বার্ধক্যকে সুরক্ষিত করতে যা জরুরি। কেননা প্রতিবছরেই সুদের হার কমছে। তাই অবসরের সময় অর্থ সংস্থান জারি রাখতে চাকরি শুরুর দিন থেকে প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। যত তাড়াতাড়ি কেউ টাকা জমাতে শুরু করবেন, তত বেশি টাকা পাওয়া যাবে অবসরের পরে কিংবা অবসরের সময়ে। টাকা জমানোর জন্য যেমন ইপিএফ, এনপিএস রয়েছে, রয়েছে শেয়ার বাজার, মিউচুয়াল ফান্ডের মতো অনেক বিনিয়োগের প্রকল্প। একনজরে পেনশন (pension) স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত।
এনপিএস-এ অবসরের পরিকল্পনা
এনপিএস
এমন
একটি
প্রকল্প
যা
নিরাপদ
এবং
ভাল
রিটার্ন
দেয়।
এনপিএস-এর
মাধ্যমেই
কেউ
প্রতিমাসে
৫০
হাজার
টাকা
পেনশনের
ব্যবস্থা
করতে
পারেন।
ধরে
নেওয়া
হল
কারও
বয়স
এখন
৩০
বছর।
যদি
প্রতিমাসে
১০
হাজার
টাকা
এনপিএস-এ
বিনিয়োগ
করা
যায়,
তাহলে
অবসরের
আগে
পর্যন্ত
অর্থাৎ
৩০
বছর
পরে
যখন
বয়স
৬০
বছর
হবে,
সেই
সময়ে
ওই
ব্যক্তির
হাতে
চলে
আসবে
১
কোটি
টাকারও
বেশি।
যার
জেরে
প্রিমাসে
৫২
হাজার
টাকারও
বেশি
টাকা
পেনশন
আসবে।
কারও
ওপর
নির্ভরশীল
না
হয়েই
বার্ধক্য
কেটে
যেতে
পারে।
এনপিএস-এ বিনিয়োগ
বয়স
৩০
বছর
অবসরের
বয়স
৬০
বছর
মাসে
এনপিএস-এ
বিনিয়োগ
১০
হাজার
টাকা
আনুমানিক
রিটার্ন
৯%
করে
টাকা
রাখতে
হবে
২০
বছর
ওই
সময়ের
পরে
বিনিয়োগের
পরিমাণ
৪০%
আনুমানিক
বার্ষিক
রিটার্ন
৬%
তবে
মেয়াদ
ফুরনোর
আগে
এনপিএস-এর
টাকা
তোলায়
কড়াকড়ি
রয়েছে।
বয়স
৬০
না
হওয়া
পর্যন্ত
লগ্নিকারী
এই
প্রকল্প
থেকে
টাকা
তুলতে
পারেন
না।
৬০
বছর
বয়সের
হলে
লগ্নিকারী
প্রকল্পে
থাকার
সিদ্ধান্ত
নিতে
পারেন
আবার
বেরিয়ে
যাওয়ার
সিদ্ধান্ত
নিতে
পারেন।
সেক্ষেত্রে
মোট
জমার
৪০
শতাংশ
পর্যন্ত
তিনি
তুলতে
পারেন।
বাকি
৬০
শতাংশ
দিয়ে
পেনশন
নিয়ামক
সংস্থা
নির্ধারিত
কয়েকটি
জীবন
বিমা
সংস্থা
থেকে
পেনশন
কিনতে
হয়।
কোটিপতি হিসেবে অবসর
এনপিএস-এ সরকারি গ্যারান্টি রয়েছে। যেখানে ৯-১২ শতাংশ পর্যন্ত বছরে রিটার্ন পাওয়া যায়। নির্দিষ্ট সময়ের পরে বার্ষিক স্কিমে ৪০% বিনিয়োগ করতে হবে, যাতে কেউ নিয়মিত পেনশন পেতে পারে, বার্ষিক ৬ % হারে। এনপিএস ক্যালকুলেটরের সাহায্যে জেনে নেওয়া যেতে পারে ৩০ বছর পরে কত টাকা পাওয়া যাবে। এনপিএস ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, অবসরের পরে মোট অর্থ দাঁড়ায় ১.৮৪ কোটি টাকা। বিনিয়োগ ১.১০ কোটি টাকা। পেনশন ৫২, ৮৫৭ টাকা।
এনপিএস-এর রিটার্ন অনেক কারণের ওপরে নির্ভর করে
তবে মনে রাখতে হবে যে হিসেব দেওয়া হয়েছে, তা আনুমানিক। কেননা পরিসংখ্যান ও আয় ভিন্ন হতে পারে। যদি কেউ মাসিক পেনশন বাড়াতে কিংবা হ্রাস করতে চান, তাহলে সেই অনুযায়ী, এনপিএস-এ বিনিয়োগ বাড়াতে কিংবা হ্রাস করতে হবে। এনপিএস থেকে যে টাকা আসবে এবং কত পেনশন পাওয়া যাবে তা বয়স, ইক্যুইটি মার্কেটের কর্মক্ষমতার ওপরে নির্ভর করে। ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে যে কেউ এনপিএস-এ বিনিয়োগ করতে পারেন।
এনপিএস-এ করের সুবিধা
এনপিএস-এর মাধ্যমে আপনি বছরে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর বাঁচাতে পারবেন। আয়কর আইনের ৮০সি-এর অধীনে যে কেউ সর্বাধিক ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর বাঁচাতে পারেন। কিন্তু যদি কেউ এনপিএস-এ বিনিয়োগ করেন, তাহলে আরও ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত কর ছাড় পেতে পারেন।
এনপিএস দুই প্রকারের
এনপিএস দুই প্রকার। এনপিএস টিয়ার ১ এবং এনপিএস টিয়ার ২। টিয়ার ১-এ সর্বনিম্ন বিনিয়োগ ৫০০ টাকা এবং টিয়ার ২-এ সর্বনিম্ন বিনিয়োগ ১ হাজার টাকা। বিনিয়োগের কোনও সর্বোচ্চ সীমা নেই। এনপিএস-এ বিনিয়োগের তিনটি বিকল্প রয়েছে। যেখানে বিনিয়োগকারী তাঁর অর্থ কোথায় বিনিয়োগ করবেন, তা বেছে নিতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে, ইক্যুইটি, কর্পোরেট ডেট এবং সরকারি বন্ড। এর মধ্যে ইক্যুইটি সর্বোচ্চ রিটার্ন দেয়। তবে বিনিয়োগের পরামর্শদাতার সঙ্গে কথা বলার পরেই কারও বিনিয়োগ করা উচিত।
গ্রাহকের মৃত্যু হলে তাঁর মনোনীত ব্যক্তিকে দেওয়া হবে। তবে তিনি টাকা তুলে নেবেন, না রাখবেন, সিদ্ধান্ত তাঁর ওপরই নির্ভর করে। ২০০৪ সালে এই প্রকল্প সরকারি কর্মীদের জন্য চালু করা হলেও, ২০০৯ সাল থেকে তা সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়।