আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটে কোন কোন বিষয় গুলিতে বেশি নজর দেবেন জেনে নিন
আসন্ন বাজেটে কোন কোন বিষয় গুলিতে বেশি নজর দেবেন জেনে নিন
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে পেশ হতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২০। দেশ জোড়া অর্থনৈতিক মন্দা থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মোড় কীভাবে ঘুরতে পারে তা জানতে অধীর আগ্রহে দিন গুনছেন দেশের সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি বর্তমানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন কী ভাবে সকলকে খুশি করে অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে পারেন সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ।
আয় কর সংস্কার
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সরকারের কর্পোরেট কর ছাড়ের পর বর্তমানে বেতনভোগী মধ্যবিত্তরা এখন তাদের আয় করের ক্ষেত্রেও আরও ছাড়ের প্রত্যাশা করছেন। আয়কর আইনের ৮০সি ধারা অনুযায়ী ২.৫ লক্ষ পর্যন্ত লগ্নির সুযোগের প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বাজেটে। প্রসঙ্গত, আয়কর আইনের ৮০সি ধারা অনুযায়ী, বেশ কিছু প্রকল্পে বছরে মোট ১.৫ লক্ষ পর্যন্ত লগ্নি করা যায়। ওই লগ্নি করা টাকার অঙ্ক বাদ যায় মোট আয় থেকে। অর্থাৎ, ওই পরিমাণ আয়ের উপর কোনও কর ধার্য হয় না।
সরকার এই ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমার ক্ষেত্রে আয় করের হার ৩০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে কমিয়ে আনতে পারে। পাশাপাশি নিম্ন আয়ের সীমা ১০ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ২০ লক্ষ করাও যেতে পারে।
অটোমোবাইল সেক্টরে মন্দার সমাধান
বিক্রয়ের ক্ষেত্রে দেশের অটোমোবাইল শিল্প ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি গত দুই বছরে কোনও নতুন গাড়ি কেনার খরচ ১২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এই ক্ষেত্রে শিল্প বিশেষজ্ঞদের সাথে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা করে আসন্ন বাজেটের মাধ্যমে এর প্রতিকারের চেষ্টা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কৃষক-সংক্রান্ত সরকারি প্রকল্পগুলিতে বরাদ্দ বাড়ানো
তীব্র অর্থনৈতিক মন্দা, কৃষি সংকটের মাঝে নতুন বাজেটে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিমের (এমএনআরইআরজিএস) বরাদ্দ বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য ভাবে, প্রধানমন্ত্রী-কিষান প্রকল্পের আওয়াত কৃষকদের জীবনযাত্রার সামগ্রিক আয় হ্রাসের পাশাপাশি তাদের নিষ্পত্তি যোগ্য আয় বাড়ানোর দিকেও বিশেষ লক্ষ্য দেওয়া হতে পারে।
বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ানো
শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিদফতরের বা ডিপিআইআইটি-র তথ্য অনুসারে, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্দার কারণে দেশে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ সেই অর্থে প্রভাবিত হয়নি। সেখানে আরও বলা হয়েছে এখনও অনেকগুলি সেক্টর রয়েছে যা এফডিআই-র পরিমাণ যথেষ্ট ভালো। পাশাপাশি আরও বেশি বিদেশী বিনিয়োগ টানতে সরকার বীমা খাতে এফডিআইয়ের বাড়ানোর দিকে নজর দিতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।