বছরে ৬০ হাজার টাকা পেনশন নিশ্চিত! মোদী সরকারের বড়সড় এই যোজনার কথা আপনি জানতেন
অসংগঠিত ক্ষেত্রে যুবক-যুবতিদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে বড় ধরনের পদক্ষেপ। সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে পেনশন থাকে ৬০ বছরের পর অবসর নিলেই পেনশন শুরু হয়ে যায়। কিন্তু দেশের একটা বিশাল অসংগঠিত শ্রেণির মানুষ রয়েছেন পেনশনের বাইরে।
অসংগঠিত ক্ষেত্রে যুবক-যুবতিদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে বড় ধরনের পদক্ষেপ। সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে পেনশন থাকে ৬০ বছরের পর অবসর নিলেই পেনশন শুরু হয়ে যায়। কিন্তু দেশের একটা বিশাল অসংগঠিত শ্রেণির মানুষ রয়েছেন পেনশনের বাইরে। ফলে অবসরের পর অনিশ্চিয়তার মুখে পড়ে যান কর্মীরা।
এই অবস্থায় অসাধারণ একটি প্ল্যান নিয়ে আসে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষত অসংগঠিত শ্রেণির অসংখ্য কর্মীর কথা ভেবে নিয়ে আসা হয়েছে Atal Pension Yojana (APY)। এই যোজনার মাধ্যমে একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর পেনশন পেতে থাকবেন কর্মীরা।
ইতিমধ্যে Atal Pension Yojana-এর মাধ্যমে বহু মানুষ পেনশনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এই স্কিম Pension Fund Regulatory and Development Authority (PFRDA) এর অন্তগর্ত।
নুন্যতম ১০০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পেনশন পাবেন
এই যোজনার মাধ্যমে উপভোক্তা প্রত্যেক মাসে নুন্যতম ১০০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পেনশন পাবেন। নুন্যতম মাসিক প্রিমিয়ামের মাধ্যমে প্রত্যেক মাসে এই টাকা পেনশন হিসাবে পেতে পারেন। তবে যে কোনও সময়ে আপনি পেনশনের টাকা কিংবা পেনশনের প্রিমিয়ামের অঙ্ক বাড়াতে কিংবা কমাতে পারেন। তবে বয়স অনুযায়ী তা নির্ধারন করা হবে।
আপনাকে দিতে হবে মাসে ২১০ টাকা।
এমনকি APY-এর টাকা মাসে, কিংবা কোয়ার্টালি কিংবা বছরের অর্ধেক সমতইয়ে দেবেন সে বিষয়ে সুবিধা মতো পরিবর্তন করা যেতে পারে। জানা যাচ্ছে, নুন্যতম ১০০০ টাকা পেনশন পেতে আপনাকে দিতে হবে মাসে ২১০ টাকা। তবে এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারও ৫০ শতাংশ টাকা দেবে। এরপর ৬০ বছর পর গিয়ে ১০০০ টাকা করে পেনশন পাবেন গ্রাহকরা। তেমন ভাবে আরও বেশ কয়েকটি স্কিম আছে। সেগুলিতেও সরকার আপনার দেওয়া টাকার উপর আরও ৫০ শতাংশ টাকা দেয়।
Atal Pension Yojana-তে কারা এর সুবিধা নিতে পারবেন?
দেশের প্রত্যেক নাগরিক এই স্কিমের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তবে এজন্যে নুন্যতম কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেগুলি বিস্তারিত ভাবে জানানো হল এই প্রতিবেদনে।
১) তথ্য বলছে এই যোজনার সুবিধা ভোগ করতে হলে আবেদনের নুন্যতম বয়য়সীমা হল ১৮ এবং সর্বোচ্চ ৪০ বছর পর্যন্ত এই স্কিমের জন্যে আবেদন করা যাবে। মহিলা কিংবা পুরুষ সবাই এই যোজনাতে ৬০ বছরের উর্ধে পেনশন পাওয়ার জন্যে আবেদন জানাতে পারবেন। তবে অবশ্যই পোস্ট অফিস কিংবা ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এই সুবিধার জন্যে আবেদন করতে গেলে আধার থাকাটা বাধ্যতামূলক। শুধু তাই নয়, আবেদনের ক্ষেত্রে রেজিস্টার মোবাইল নম্বর থাকাটা খুব জরুরি।
২)অটল পেনশন যোজনা থেকে ৬০ বছর বয়সে বেরিয়ে গেলে ১০০ শতাংশ পেনশন পাওয়া যাবে। স্কিম শেষ হলেই পাওয়া যাবে পেনশনের পুরো টাকা
৩) এই পেনশনের সুবিধা নেওয়ার পর যদি ওই পেনশনভোগীর যদি হহাত করে মৃত্যু হয় তাহলে নোমিনি হিসাবে যার নাম দেওয়া হয়েছে তাঁর কাছে দিয়ে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, স্বামী এবং নোমিনিতে থাকা স্ত্রীয়ের মৃত্যু হলে তালিকাতে থাকা তৃতীয় ব্যক্তিকে দিয়ে দেওয়া হবে।
৪) ৬০ বছরের আগে Atal Pension Yojana-থেকে কি বেরিয়ে যাওয়া যায়? না কখনই জানা যায়না। তবে পরিস্থিতি বিচার করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত কখনও কখনও নেওয়া হতে পারে। তবে সবসময়ের জন্যে কখনও না।
এই যোজনাতে ট্যাক্স ছাড় পাওয়া যাবে
অটল পেনশন যোজনাতে ট্যাক্স ছাড় পাওয়া যাবে। Income tax act 80C-তে এই ছাড় পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, অর্থনীতির কারবারির বলছেন, এই যোজনাতে টাকা সবসময় সুরক্ষিত থাকে।
আধার কার্ড থাকাটাও বাধ্যতামূলক
মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর অটল পেনশন যোজনা শুরু করে মোদী সরকার। ২০১৫ সালে এই সুবিধা শুরু হয়। বিশেষ করে ১৮ থেকে ৪০ সালের মধ্যে কর্মীরা এই সুবিধা নিতে পারেন। এই সুবিধা পেতে হলে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। এছাড়া পোস্ট অফিস কিংবা ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, আধার কার্ড থাকাটাও বাধ্যতামূলক।
এই স্কিমে কি সুবিধা পাওয়া যাবে?
১) এই স্কিমে নুন্যতম এক হাজার টাকা পেনশন পাওয়া যাবে। এছাড়াও সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পেনশন পাবেন আবেদনকারীরা। এছাড়াও ২ হাজার টাকা করে ১২ মাস ৬০ হাজার টাকা বছরে পেনশন মিলবে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু স্কিম আছে।
২) গ্রাহকের মৃত্যু হলে তাঁর স্বামী বা স্ত্রী গ্রাহকের সম পরিমাণ পেনশন পাবেন। আমৃত্যু সেই পেনশন পাওয়া যাবে। যদি এই স্কিমের গ্রাহক ও তাঁর স্বামী বা স্ত্রী'র মৃত্যু হয়, তাহলে গ্রাহকের নমিনি পেনশনের টাকা পাবেন।
ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে এই স্কিম
দেশের একটা বিশাল অংশের মানুষের ভবিষ্যৎ ভারতের মতো দেশের অসুরক্ষিত। অর্থাৎ ৬০ বছর অবসরের পর কীভাবে কীভাবে জীবন চলবে তা নিয়ে চিন্তিত মানুষজন। আর এই প্রকল্পে অসংগঠিত শ্রেণির মানুষের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতেই এই স্কিম চালু করা হয়েছে। আর ক্ষমতায় আসার পরেই মোদী সরকার এই স্কিম নিয়ে আসে।
{quiz_667}