গর্ভাবস্থায় কেমন হবে হবু মায়ের ঘরের সাজ? কি বলছেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা দেখে নিন
গর্ভাবস্থায় কেমন হবে হবু মায়ের ঘরের সাজ?
মাতৃত্বেই নারীর পূর্ণ বিকাশ ঘটে। কিন্তু মা হওয়ার আগে গর্ভাবস্থায় ধকল, সাবধানতার শেষ থাকে না। এই বিষয়ে বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সহজ গর্ভধারণ ও তার পরবর্তী অধ্যায় আরও সাবলীল ও আনন্দদায়ক হতে পারে যদি বাস্তুশাস্ত্র মেনে ঘর সাজানো যায়। কেমন সেই পদ্ধতি? আর্চায ইন্দু প্রকাশ জানিয়েছেন কিছু নির্দিষ্ট জিনিস গর্ভবতী মহিলাদের ঘরে থাকা অত্যন্ত বাঞ্ছনীয়।
ঘরে রাখুন ময়ূরের পালক
প্রথমেই কথা বলব ময়ূরের পালক নিয়ে। গর্ভবতী মহিলাদের ঘরে বা যারা সদ্য মা হয়েছেন তাঁদের ঘরে সর্বদা ময়ূরের পালক রাখা দরকার। ঘরে ময়ূরের পালক মা ও তাঁর আসন্ন সন্তান উভয়ের জন্য খুব ভালো।
ঘর সাজান গোলাপী রঙে
একইভাবে গোলাপী রং খুশি ও আনন্দের প্রতীক। তাই গর্ভবতী মহিলাদের ঘরে এই রং করিয়ে সেখানেবড় কোনও ইতিবাচকতার ছবি লাগানো দরকার। সাদা রঙও শান্তি ও সুস্বাস্থ্যের প্রতীক। তাই গোলাপী রঙের পাশাপাশি, সাদা রঙের কোনও ছবি বা শোপিস ঘরের মধ্যে রাখা যেতে পারে।
তামার তৈরি জিনিস রাখুন
এছাড়াও গর্ভবতী মহিলারা তামার তৈরি কোনও জিনিস ঘরের মধ্যে রাখতে পারেন। কারণ তামা নেতিবাচক ও অশুভ শক্তি সরিয়ে সেখানে ইতিবাচকতা নিয়ে আসে।
কোনও কষ্ট ছাড়াই নিরাপদে মা হওয়ার আরও একটা সহজ উপায়, গর্ভাবস্থায় সব সময় দক্ষিণ-পশ্চিম মুখী ঘরে শোওয়া। বদলে উত্তর-পূর্ব মুখী ঘরেও শোওয়া যেতে পারে। মাথায় রাখবেন, ভরা মাসে গর্ভবতীর উত্তর-পশ্চিম মুখী ঘরে না শোওয়াটাই বাঞ্ছনীয়।
শুধু ঘর নয়, শুতেও হবে নির্দিষ্ট দিক মেনে। বাস্তুশাস্ত্র মতে, গর্ভবতী মহিলা সব সময় দক্ষিণ দিকে মাথা করে শোবেন। এই দিক এই অবস্থার জন্য শুভ।
আরামদায়ক নীল রঙ
জানেন কি, নীল রঙ শরীরের পক্ষে ভীষণ আরামদায়ক! এই জন্যই বেশির ভাগ সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোমে নীল রঙ ব্যবহার করা হয়। আসলে নীল রঙে অ্যাস্ট্রিনজেন্টের পরিমাণ বেশি। এই উপাদান গর্ভবতীর পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী। তাই বাস্তু ভাবী 'মা'-এর ঘরে নীল বা বেগুনি রঙের আলো লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছে।
অবসর কাটান বই পড়ে
এই অবস্থায় অবসর কাটনোর সেরা উপায় ভালো অর্থাত্ ইতিবাচক বই পড়া। সেই সঙ্গে দেওয়ালে বাচ্চার হাসিখুশি ছবি আটকাতেও ভুলবেন না। এগুলো পজিটিভ এনার্জি-র জন্ম দেয়। যা মা এবং সন্তান উভয়ের পক্ষেই উপকারী।