ষষ্ঠীলা একাদশীতে এভাবে করুন তিলের ব্যবহার, সুখ–সৌভাগ্য বৃদ্ধি পাবে
ষষ্ঠীলা একাদশীতে তিলের ব্যবহার
মাঘ কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিকে বলা হয় ষষ্ঠীলা একাদশী। এই বছর এই একাদশী পড়েছে ২৮ জানুয়ারি। পুরাণে এই একাদশীর বিশেষ মাহাত্ম্যের কথা বলা হয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে এইদিন বিধি মেনে স্নান, দান ও তর্পণ করলে মোক্ষ লাভ হয়। এছাড়াও এদিন ৬ উপায়ে তিল ব্যবহার করা যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক ষষ্ঠীলা একাদশীতে কীভাবে ৬ উপায়ে তিল ব্যবহার করবেন।
প্রথম তিলের প্রয়োগ
তিলের প্রথম প্রয়োগে সবরা আগে জলে তিল মিশিয়ে দিন। এরপর এই জল দিয়ে স্নান করুন। স্নান করার সময় 'ওম নমোঃ ভগবতে বাসুদেবায়' মন্ত্রের জপ করুন। এরপর হলুদ রঙের পোশার পরিধান করে সূর্যকে জল অর্পণ করুন। এরকম করলে জীবন থেকে দুর্ভাগ্য দূর হয়ে যায়। এর সঙ্গে সৌভাগ্য প্রাপ্তি হয়।
দ্বিতীয় তিলের প্রয়োগ
এমনিতে ষষ্ঠীলা একাদশীর দিন সকালে ব্রত রাখা ভালো বলে মনে করা হয়। কিন্তু যাঁরা ব্রত রাখতে পারছেন না, তাঁরাও তিলের তেল মাখতে পারেন। এতে রোগ দূর হয়। এর সঙ্গে ত্বকে রোগ ও ক্লান্তির মতো সমস্যার দূর হয়ে যায়।
তৃতীয় তিলের প্রয়োগ
ষষ্ঠীলা
একাদশীতে
তিল
দিয়ে
যজ্ঞ
করা
খুবই
লাভদায়ক
বলে
মনে
করা
হয়।
এজন্য
গরুর
ঘিতে
তিল
মিশিয়ে
নিন।
এর
পরে,
ওম
নমোঃ
ভগবতে
বাসুদেবায়
নমোঃ
এই
মন্ত্রটি
পাঠ
করার
সময়
যজ্ঞ
করুন।
এছাড়াও
কনকধারা
স্তোত্র
বা
শ্রীসুক্ত
পাঠ
করার
সময়
যজ্ঞ
পালন
করলে
মা
লক্ষ্মীর
বিশেষ
আশীর্বাদ
পাওয়া
যায়।
এর
সাথে
জীবন
থেকে
দারিদ্র্য
বিলুপ্ত
হয়।
চতুর্থ তিলের প্রয়োগ
একাদশীর দিন তিল মিশ্রিত জল খাওয়া ভাল। এর জন্য পানীয় জলে তিল মিশিয়ে সারা দিন পান করুন। এটি অনেক রোগ নিরাময় করে। এছাড়া দক্ষিণ দিকে মুখ করে পূর্বপুরুষদের জন্য তর্পণও করতে পারেন। এটি করলে পূর্বপুরুষের আশীর্বাদ পাওয়া যায়, যা জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।
পঞ্চম তিলের প্রয়োগ
একাদশীতে তিল দান করার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। মহাভারতে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি ষষ্ঠীলা একাদশীতে তিল দান করেন, তিনি নরকের কষ্ট থেকে রক্ষা পান। এছাড়াও এই দিনে তিলের খাবার দান করাও শুভ।
ষষ্ঠ তিলের প্রয়োগ
ষষ্ঠীলা একাদশীর দিন যারা উপবাস করেন বা যারা উপোস করছেন না, তারা অবশ্যই তিল থেকে তৈরি খাবার খান। এছাড়াও, সন্ধ্যায়, তিলের খাবার তৈরি করুন এবং দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবান বিষ্ণুকে ভোগ দিন।