বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ, নেতিবাচক প্রভাব থেকে রেহাই পেতে গ্রহণ শেষে অবশ্যই করুন এই কাজগুলি
বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ, নেতিবাচক প্রভাব থেকে রেহাই পেতে গ্রহণ শেষে অবশ্যই করুন এই কাজগুলি
বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা বেজে ১৫ মিনিটে শুরু হয়ে তা ১ মে ভোর ৪টে বেজে ৭ মিনিটে শেষ হবে। এই গ্রহণের দিন অবশ্যই কিছু কাজ করা প্রয়োজন। এতে গ্রহণের নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই সূর্যগ্রহণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোন কোন কাজ করা অবশ্যই জরুরি।
সূর্যগ্রহণের
নেতিবাচক
প্রভাব
কমাতে
এই
কাজগুলো
করুন
ঘরে গঙ্গাজল ছড়ান
সূর্যগ্রহণের পরই গোটা বাড়িতে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধ করুন। বাড়ির পুজোর জায়গায় অবশ্যই গঙ্গাজল ছেটান। এতে নেতিবাচক ক্ষমতা শেষ হয়ে যাবে।
গর্ভবতী মহিলারা কি করবেন
সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাদের নিজেদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গ্রহনকালে নিঃসৃত নেতিবাচক শক্তি মায়ের সঙ্গে সন্তানের ওপর পড়ে। অতএব, গ্রহন শেষ হওয়ার সাথে সাথে স্নান করে নিন।
গ্রহণের পর দান করুন
সূর্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর তিল ও ছোলার ডাল দান করতে হবে। জ্যোতিষীদের মতে, এটি করলে জীবনের সব ধরনের ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শুদ্ধ করুন ঘর–বাড়ি
সূর্যগ্রহণের সময় নেতিবাচক শক্তি বায়ুমণ্ডলে আধিপত্য বিস্তার করে। তাই গ্রহন শেষ হওয়ার সাথে সাথে সারা ঘরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিন, যাতে বাড়ির পরিবেশ ইতিবাচক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এছাড়া গ্রহণ শেষে বাড়িতে ঝাড়ু দেওয়ার পাশাপাশি পুরো ঘর মুছে ফেলুন। এতে নেতিবাচক ক্ষমতা শেষ হয়ে যাবে।
গ্রহণের পর স্নান করে নিন
গ্রহণ শেষ হওয়ার পর স্নান করে নিন এবং তারপরই অভাবী বা দরিদ্রদের কিছু দান করুন। এতে অবশ্যই ফল পাবেন।
গঙ্গাস্নান
শাস্ত্র মতে সূর্যগ্রহণের পর গঙ্গায় স্নান করার বিধান রয়েছে। কিন্তু কোনও কারণে গঙ্গায় স্নান করতে না পারলে ঘরে স্নানের জলে কিছু গঙ্গা জল রাখুন। এতেও লাভ হবে।
ভগবানের দর্শন করা
সূর্যগ্রহণের পর দেবতাদের দর্শন করা শুভ বলে মনে করা হয়। অতএব, গ্রহন শেষ হওয়ার পরে, স্নান করুন এবং আপনার আরাধ্য দেবতার দর্শন করুন।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)
সূর্যগ্রহণ ও শনিচারি অমাবস্যা একযোগে, একশো বছর পর এই বিরল সংযোগ, করুন কিছু বিশেষ উপায়