কুণ্ডলীতে রাহুর অবস্থান দুর্বল হলে সমস্যায় ভরে যায় জীবন, শাস্ত্রমতে জানুন মুক্তি পাওয়ার উপায়
জন্মছকে গ্রহের অবস্থান খারাপ হলে জীবনে দুঃখ-সমস্যা নিত্য সঙ্গী হয়ে থাকে। কুণ্ডলীতে রাহু-কেতু অশুভ হলে ব্যক্তি সর্বদা সমস্যায় ঘিরে থাকেন। আর এরজন্য দায়ী দুর্বল রাহু। এই দুর্বল রাহু কেবল মানসিক নয় বরং শারীরিক রূপেও অশান্তি বাড়ায়। রাহু পীড়িত থাকলে ব্যক্তি নেশার প্রতি আসক্ত হয়, কথাবার্তায় খিটখিটে হয়ে পড়ে এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সর্বদা উদাসীন থাকে। রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়া, সব সময় ভীতিকর স্বপ্ন দেখা, অস্থির থাকা এবং কোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে না পারা অশুভ রাহুর লক্ষণ।
রাহু দোষের লক্ষণ
যে জাতকদের রাহু দুর্বল হয় তারা জল, আগুন ও উচ্চতাকে খুব ভয় পান। এরা সর্বদা অসুস্থ থাকেন। বিনা কারণে এদের লোকেদের সঙ্গে শত্রুতা বেড়ে যায়। এরা অন্যদের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করে। নোংরা অথবা অপরিষ্কারভাবে থাকলে রাহুর দোষ লাগে। শাস্ত্রে রাহু দোষ কাটানোর সহজ উপায় বলা হয়েছে, যা সকলে করতে পারেন।
রাহুর জন্য শাস্ত্রে বলা উপায়
রাহু গ্রহ সম্পর্কিত শাস্ত্র অনুযায়ী প্রতিকার করলে ব্যক্তি তার ইতিবাচক ফল পায়। যাদের কুণ্ডলীতে রাহু দোষ আছে তাদের সবসময় সঙ্গে একটি রৌপ্য মুদ্রা রাখা উচিত।গঙ্গায় স্নান করা আপনার জন্য শুভ। কালো কুকুরকে খাবার খাওয়ালে রাহু দোষও দূর হয়। রাহু দুর্বল হলে মাংস, মাছ ও মদ্যপান করবেন না। একজন দরিদ্র ব্যক্তিকে সাহায্য করা এবং একটি লোহার আংটি বা একটি ব্রেসলেট পরা আপনার জন্য উপকারী হবে।
রাহুর মহাদশা থেকে মুক্তি
রাহুর মহাদশা থাকলে, সূর্য, চন্দ্র ও মঙ্গলের ব্যবধান কষ্ট দেয়। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন, শিবকে বেলপাতা অর্পণ করে দুগ্ধাভিষেক করলে সুফল পাওয়া যায়।
শিবের আরাধনা করুন
জাতকের জন্মাঙ্কে অবস্থিত রাহু যদি চন্দ্র, সূর্যকে দূষিত করে, তা হলে অবশ্যই শিব আরাধনা করা উচিত। আবার রাহুর মহাদশা অথবা অন্তর-প্রত্যন্তর অত্যন্ত কষ্টজনক হয়। এমন পরিস্থিতিতে শিবের অভিষেক করা উচিত ও শিবপুরাণের পাঠ করা উচিত। রাহুর দশায় লাগাতার শিব মন্ত্র ওম নমঃ শিবায়ের জপ করা উচিত। এর ফলে কষ্ট লাঘব হয়।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)
শুধু রয়ে যাক প্রেম! ভারতে বিয়ে সারলেন রাশিয়ার বর ও ইউক্রেনের কনে, চমকে দিলেন বিশ্বকে