পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের কিছু অলৌকিক রহস্য, যার উত্তর আজও মেলেনি
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের কিছু অলৌকিক রহস্য, যার উত্তর আজও মেলেনি
রথযাত্রা ২০২১ কার্যত করোনার কড়া লকডাউন বিধির মধ্যে দিয়ে শুরু হতে চলেছে। এদিকে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা দিয়ে পুরীতে ইতিমধ্যেই রথযাত্রা ঘিরে একাধিক আচারবিধির পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। জগন্নাথধামের এই বিখ্যাত উৎসবের মাঝেও বারবার উঠে আসে পুরীর মন্দিরের রহস্যময় অলৌকিক ঘটনাগুলির প্রসঙ্গ। একনজরে দেখা যাক সেই সমস্ত ঘটনা।
মন্দিরের উপর হাওয়ার গতি
পুরীর মন্দিরের মাথায় যে পতাকা রয়েছে তার সর্বদাই হাওয়ার বিপরীত দিকে উড়তে থাকে। এই ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্য়াখ্যা আজও পাওয়া যায়নি। সেখানে এমন কোন রহস্যময় ঘটনা রয়েছে , যে এভাবে পতাকা স্বাভাবিকের থেকে অন্যরকম আচরণ করে?
সুদর্শন চক্র
পুরীর মন্দিরের উপরের সুদর্শন চক্র ২০ কেজি ওজনের। পুরী শহরের যেকোনও জায়গা থেকে এই চক্রকে দেখা যায়। আড়াল আবডাল কাটিয়ে তা কীভাবে দেখা যায়, তা নিয়েও রয়েছে রহস্য। এই ভারী চক্র এমন মন্দিরের মাথায় ঠিক কোন অবস্থানে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে রহস্য রয়েই গিয়েছে।
মন্দিরের উপর দিয়ে যায় না পাখি!
অদ্ভূত ঘটনা হল, পুরীর মন্দিরের ঠিক মাথার উপর দিয়ে আজ পর্যন্ত কোনও পাখি উড়তে দেখা যায়নি। এমনকি মন্দিরের মাথা দিয়ে যায়নি বিমান। অনেকেই মনে করেন জগতের নাথ জগন্নাথের উপরে কেউ নেই, সেই বার্তাই এই মন্দির বছরের পর বছর দিচ্ছে।
নেই ছায়া!
পুরীর
মন্দিরের
ছায়া
দিনের
কোনও
একটি
সময়ও
পড়ে
না
মাটিতে।
কেন
এমন
ঘটনা
ঘটে,
তা
নিয়ে
বাস্তুকারদের
মধ্যে
বহু
বিতর্ক
চলেছে
যুগযুগ
ধরে।
সিংহদ্বার
জগন্নাথ মন্দিরের মোট ৪ টি দরজা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল সিংহদ্বার। সিংহদ্বারের আগে পর্যন্ত গেলেই সেখানে সমুদ্রের হাওয়ার শব্দ শোনা যায়। তবে তারপর মন্দিরে প্রবেশ করলে আর কোনও শব্দই শোনা যায়না।
সমুদ্রের ঢেউ
বিশ্বের যেকোনও জায়গায় সকালে সমুদ্র থেকে হাওয়া আসেতীরের দিকে। আর উপকূল থেকে বিকেলের দিকে সমুদ্রের দিকে হাওয়া যায়। তবে পুরীতে তার উল্টোটা হয়!
আঠারোশো বছরের পুরনো রীতি
পুরীতে আঠারোশো বছরের পুরনো রীতি অনুযায়ী, প্রতিদিন ৪৫ তলা পার করে একজন পুরোহিত মন্দিরের একেবারে উপরে উঠে যান। সেখানে গিয়ে পতাকা লাগিয়ে আসেন। আজ পর্যন্ত এই কাজের অন্যথা হয়নি।
প্রসাদ নষ্ট হয়না!
পুরীর মন্দিরের পাকশালাও দেখার মতো। পর পর হাঁড়ি বসিয়ে সেখানে একটি বিশেষ পদ তৈরি হয়। রেকর্ড বলছে সেখানে ২ হাজার থেকে ২০ হাজার পূণ্যার্থী রোজ ভোগ খান। আর আজ পর্যন্ত ভোগ কোনও দিনওই শেষ হয়নি।