‘লাগল যে দোল’, ঐতিহ্যবাহী উৎসব দোল পূর্ণিবার দিনক্ষণ, তাৎপর্য এক নজরে জেনে নিন
‘লাগল যে দোল’, ঐতিহ্যবাহী উৎসব দোল পূর্ণিবার দিনক্ষণ, তাৎপর্য এক নজরে জেনে নিন
হোলি হল সবচেয়ে প্রত্যাশিত ভারতীয় উৎসবগুলির মধ্যে একটি এবং এটি উপমহাদেশে শীত ঋতুর বিদায় এবং বসন্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদযাপিত হয়। হোলি হল রঙের উৎসব, যেখানে শিশু এবং বড়রা একে–অপরের সঙ্গে আবীর নিয়ে খেলা করে এবং বয়সে বড়দের কাছ থেকে আশীর্বাদ নেয় পায়ে আবীর দিয়ে। হোলির রঙ দিয়ে খেলা ও সুস্বাদু খাবারের আস্বাদ নেওয়ার আগে পালন করা হয় হোলিকা দহন। এই দিন, মানুষ প্রতীকিভাবে কাঠ–খড় দিয়ে আগুন জ্বালায় এবং মন্দ শক্তিকে পুড়িয়ে দেয় এই পবিত্র আগুনে।
হোলির তারিখ
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ফাল্গুন মাসে, যা সাধারণত ফেব্রুয়ারি-মার্চের সময় থাকে, সেই সময় হোলি উৎসব উদযাপন করা হয়। এ বছর ১৮ মার্চ হোলি উৎসব পালন করা হবে এবং ১৭ মার্চ হোলিকা দহন হবে।
তিথি ও মুহূর্ত
দৃকপঞ্চং অনুসারে, পূর্ণিমা তিথি ১৭ মার্চ দুপুর ১:২৯ মিনিটে শুরু হবে এবং ১৮ মার্চ দুপুর ১২:৪৭ মিনিটে শেষ হবে। হোলিকা দহনের মুহূর্ত ১৭ মার্চ ৯টা ৬ মিনিট থেকে শুরু করে তা চলবে রাত ১০টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত।
হোলি ও হোলিকা দহনের তাৎপর্য
পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, হিরণকাশ্যপ বলে একজন রাজা ছিলেন। যিনি চাইতেন তাঁকেই সবাই ইশ্বর বলে মনে করুক। কিন্তু তাঁর নিজের পুত্র প্রহ্লাদ ভগবান বিষ্ণুর অন্ধ ভক্ত ছিলেন এবং হিরণ্যকাশ্যপের কাছে মাথা নত করতে অস্বীকার করেছিল। হিরণ্যকাশ্যপের বোন হোলিকা জ্বলন্ত চিতায় প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে বসেন তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে। হোলিকা বর পেয়েচিলেন যে তাঁকে অগ্নি কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। প্রহ্লাদ ক্রমাগত বিষ্ণুসর নাম স্মরণ করতে থাকেন, দেখা যায় প্রহ্লাদের কোনও ক্ষতি হয়নি বরং আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় হোলিকার। হোলিকার নামেই এই পর্বের নাম রাখা হয় হোলিকা দহন।
মথুরা–বৃন্দাবনে হোলি উৎসব
রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলাক্ষেত্র মথুরা-বৃন্দাবনেও হোলি উৎসব জাঁকজমকভাবে উদযাপন করা হয়। পুরাণ মতে, এই বৃন্দাবনেই রাধা এবং গোপিনীদের সঙ্গে দোল খেলতেন কৃষ্ণ। কৃষ্ণের লীলাভূমি নামে পরিচিত মথুরায় দোল উত্সব যে আলাদা চেহারা পাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উত্তর প্রদেশের মধুরা, বৃন্দাবন, গোকূল এবং নন্দগাঁওতে ১১ মার্চ থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে হোলি উত্সব।