আজ রথযাত্রার পুণ্যতিথিতে জেনে নিন এই উৎসব সম্পর্কে অজানা ১০টি তথ্য
আজ রথযাত্রার পুণ্যতিথিতে জেনে নিন এই উৎসব সম্পর্কে অজানা ১০টি তথ্য
শুক্রবার ১ জুলাই আজ থেকে শুরু হল পুরীর রথযাত্রা উৎসব। যেখানে ভগবান জগন্নাথ বছরে একবার গুণ্ডিচা মাতা মন্দিরে দর্শনে আসেন। বিশ্বাস করা হয় যে রানী গুণ্ডিচা হলেন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের স্ত্রী, যিনি জগন্নাথ মন্দির তৈরি করেছিলেন। প্রত্যেক বছর এই উৎসব ৯দিন ধরে চলে। ভগবান জগন্নাথের রথ ছাড়াও বড় ভাই বলভদ্র ও বোন সুভদ্রার রথও বের হয়। ভগবান জগন্নাথ দেবের এই পবিত্র রথযাত্রা উপলক্ষ্যে আসুন কিছু অজানা তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
রথযাত্রার গুরুত্ব
বিশ্বে এটাই একমাত্র উৎসব যেখানে মন্দির থেকে দেবতাদের বের করে রথে চড়ানো হয়।
বৃহৎ রথযাত্রা
বিশ্বের বৃহৎ শোভাযাত্রা হিসাবে বিবেচিত করা হয় পুরীর রথযাত্রাকে।
প্রত্যক বছর নতুন রথ
প্রত্যেক বছর নতুন রথ তৈরি করা হলেও পুরনো রথের কাঠামো, মডেল, নকশা ও মাপ একই রকম থাকে।
কাঠের তৈরি রথ
ভগবান জগন্নাথের রথে একটিও পেরেক ব্যবহার করা হয় না এবং এটা সম্পূর্ণ তৈরি হয় কাঠ দিয়ে। বসন্ত পঞ্চমীর দিন থেকেই কাঠ সংগ্রহ করা শুরু হয়ে যায়।
আলাদা আলাদা রথ
ভগবান জগন্নাথ, ভগবান বলভদ্র ও বোন সুভদ্রা প্রত্যেকে আলাদা আলাদা রথে চড়েন। ভগবান জগন্নাথ ১৮ চাকার নন্দীঘোষ রথে বসেন, ভগবান বলভদ্রের তালধ্বজা রথ ১৬ চাকার এবং বোন সুভদ্রার পদ্মধ্বজা রথটি ১৪ চাকার হয়।
জগন্নাথ দেবের রথের রঙ
ভগবান জগন্নাথ দেবের রথের রং লাল ও হলুদ রঙের এবং এটি বলভদ্র ও সুভদ্রার চেয়ে আকারে বড়।
রথযাত্রার আগে স্নানযাত্রা
সমস্ত দেবতাকে ১০৮টি কলসের জল দিয়ে আনুষ্ঠানিক স্নান করা হয়। একে বলা হয় সহস্ত্রধারা স্নান।
কবে ফিরে আসে রথ
অষ্টম দিনে আষাঢ় শুক্লা দশমীতে এই রথগুলি ফিরে আসে। একে বলা হয় বহুদা যাত্রা।
ভেঙে ফেলা হয় রথ
রথগুলি ফিরে আসার পর সেগুলি ভেঙে ফেলা হয় এবং এই কাঠগুলি জগন্নাথ মন্দিরের রান্নাঘরে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
৫৬ পদের ভোগ
প্রত্যেকদিন জগন্নাথ মন্দিরে ৫৬ পদের ভোগ তৈরি হয়। এই মহাপ্রসাদ তৈরি হয় মন্দিরের রান্নাঘরে সাতটি মাটি অথবা কাঠের পাত্রে।
জগন্নাথ দেবের প্রসাদকে কেন 'মহাপ্রসাদ’ বলা হয়? জানুন অবাক করার মতো কারণ