শনির অশুভ দশা থেকে বাঁচতে পাঠ করুন এই স্ত্রোত্র–প্রতিকার, প্রসন্ন হবেন শনিদেব
শনির অশুভ প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য কেউ না কেউ কিছু না কিছু উপায় করে থাকে। যাতে জীবনকে আরও সুখময় করা যায়। কুণ্ডলীতে শনির অবস্থানের ভিত্তিতে প্রতিটি রাশির মানুষ শুভ ও অশুভ ফল লাভ করে। শনিদেব মানুষের ভালো কাজের ভালো ফল এবং খারাপ কাজের খারাপ ফল দেন। আপনিও যদি শনিদেবের প্রকোপ এড়াতে চান, তাহলে শনিবার রাজা দশরথের শনি স্তোত্র পাঠ করুন। এটা সব রাশির জাতকরাই পাঠ করতে পারে।
রাজা দশরথের শনি স্ত্রোত্র
নমঃ কৃষ্ণায় নিলয় শীতকান্তনিভয় চ।
নমঃ কালগ্নিরূপায় কৃতন্তায় চ বৈ নমঃ।।
নমো নির্মংসা দেহাই দীর্ঘশ্মশ্রুজাতয় চ।
নমো বিশালনেত্রায় দ্রয়োদর ভয়কৃতে।।
নমঃ পুষ্কলগাত্রায় স্থুলরোমনেথ বৈ নমঃ।
নমো দীর্ঘায়ুষ্কায় কালদশত্র নমোস্তুতে।।
নমস্কার কোটরাক্ষায় দুর্নিরিক্ষ্যায় বৈ নমঃ।
নমো ঘোরই রৌদ্রে ভীষনয় কপালেনে।।
নমস্কার সর্বভক্ষয় বালিমুখায়নমস্তুতে।
সূর্যপুত্র নমস্তে স্তূ ভাস্কেরে ভয়দয়া চ।।
অন্তর্দৃষ্টি: নমস্তে।
নমো মন্দগতে তুভ্যম নিরিস্ত্রায় নমোস্তুতে।।
তপসা দগ্ধদেহে নিত্য যোগরতায় চ।
নমো নিত্যম অপ্রতায়ে অতৃপ্তায় চ বৈ নমঃ।।
জ্ঞানচক্ষুর্ণমস্তেস্তু কাশ্যপত্মজ সুনভে।
তুষ্টো দাদাসি বৈ রাজ্য রুষ্টো হরসি তক্ষনৎ।
দেবসুরমানুষ্যশ্চ সিদ্ধবিদ্যাধররোগঃ।
ত্বয়া বিলোকিতাঃ সর্বে নাশ্যন্তি সম্পূর্ণঃ।।
প্রসাদ
কুরু
মে
দেব
বারাহোস্তহমুপাগত।
এব
স্তুতস্তদ
সৌরগ্রহরাজা
মহাবলঃ।।
শনির দশা থেকে বাঁচতে চন্দনের প্রয়োগ
শনি সাড়েসাতি ও আড়াইয়ের প্রকোপ মুক্তি পেতে টানা ৪০ দিন স্নানের জলে চন্দনের শিকড় দিয়ে স্নান করুন।
লাল চন্দনের তিলক লাগান
প্রতি শনিবার কপালে লাল চন্দনের তিলক লাগান। আপনি চাইলে শনিদেবকে লাল চন্দন নিবেদন করতে পারেন। এতে শনিদেব শান্ত হবেন এবং অশুভ প্রভাবও দূর হবে।
চন্দনের মালা নিয়ে জপ করুন
শনিদেবের আশীর্বাদ পেতে প্রতি শনিবার সূর্যাস্তের পর অশ্বত্থ গাছের নীচে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালান এবং চন্দনের মালা নিয়ে শনিদেবের মন্ত্র 'ওঁ শং শনৈশ্চরায় নমঃ' জপ করুন। আপনি প্রতি অমাবস্যায় সূর্য অস্ত যাওয়ার পরেও এটি করতে পারেন।
কর্মক্ষেত্রে সাফল্য পেতে
ব্যবসা ও চাকরিতে সাফল্য পেতে মঙ্গলবার লাল চন্দন দিয়ে ১১টি অশ্বত্থ পাতায় রাম লিখুন। তারপর এই পাতার মালা বানিয়ে হনুমানজিকে পরিয়ে দিন। এতে ব্যবসায় বৃদ্ধি হবে। তবে মনে রাখবেন, এই প্রতিকার করার সময় কেউ যেন আপনাকে দেখে না ফেলে।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)