
রাহু–কেতুর দশা দূর করতে পিতৃপক্ষের সময় এই কাজগুলি করতে ভুলবেন না
হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুসারে পিতৃপক্ষে পূর্বপুরুষের শ্রাদ্ধ করা, পিণ্ডদান দেওয়া ও তর্পণ করার পরম্পরা রয়েছে। পূর্বপুরুষের শ্রাদ্ধ করলে তারা প্রসন্ন হন আর তাদের আত্মারা তৃপ্তি পান। তাঁদের প্রসন্নতায় ঘর-পরিবারে সুখ ও শান্তি থাকে। ধর্মশাস্ত্র মতে শ্রাদ্ধ কর্ম কেবল ৩ প্রজন্মের জন্য করা হয়। এই বছর পিতৃপক্ষ ১০ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। রাহু ও কেতুর দোষ দূর করতে পিতৃপক্ষকে উত্তম বলে মনে করা হয়।

রাহু–কেতু দোষের খারাপ প্রভাব
জ্যোতিষে রাহু-কেতুকে ছায়া গ্রহ বলে মনে করা হয়। কোনও ব্যক্তির কুণ্ডলীতে রাহু ও কেতুর কারণে কালসর্প যোগের নির্মাণ হয়। বিশ্বাস করা হয় যে রাহু-কেতুর পরিস্থিতি যদি কোনও ব্যক্তির পক্ষে না থাকে তখন তাঁর জীবনে অনেক সমস্যা এসে যায়। এঁদের সব কাজে বাধা আসে। মানসিক অশান্তি এতটাই বেড়ে যায় যে পরিস্থিতি সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে। যদি আপনিও রাহু-কেতুর অশুভ প্রভাবের জন্য সমস্যায় রয়েছেন তবে পিতৃপক্ষে এই বিশেষ উপায় অবশ্যই করুন।

দান করুন
পিতৃপক্ষে পূর্বপুরুষদের পরার যোগ্য ধুতি, কুর্তা, গামছা এইসব জিনিস দান করুন। এরমধ্যে বস্ত্রের দান আতি মাহাত্মপূর্ণ হয়ে থাকে।

রাহু–কেতুর দোষ কাটাতে
রাহু-কেতু দোষ নিবারণের জন্য পিতৃপক্ষে জুতো, চপ্পল, ছাতা দান করা উচিত। এর সাথে পিতৃপক্ষের সময় তাদের এইসবের দানকে শুভ বলে মনে করা হয়।

ক্ষুধার্ত ও ব্রাহ্মণদের খাওয়ান
ধার্মিক মান্যতা অনুসারে পিতৃপক্ষের দিন ক্ষুধার্ত ও ব্রাহ্মণদের খাবার খাওয়ান, এঁদের অন্ন দান করলে রাহু-কেতুর দশা ঠিক হয়ে যায়।

রাহু–কেতুর বীজমন্ত্র
কেতুর অশুভ প্রভাব এড়াতে কেতুর বীজ মন্ত্র 'ওম শ্রেন শ্রীন শ্রৌঁসা: কেতবে নমঃ' জপ করুন। কেতুর অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে তিল, পতাকা, কাজল, গরম বস্ত্র, মুলো ইত্যাদি দান করাও শুভ বলে মনে করা হয়। রাহুর শান্তির জন্য 'ওম ভ্রাম ভ্রীম ভ্রৌ সঃ রাহবে নমঃ' মন্ত্র প্রতিদিন একমালা করে জপ করুন।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)