আজ থেকে শুরু রংপঞ্চমী! এই সময় কোন কোন কাজ করলে জীবনে আর্থিক অভাব কাটবে, জানেন আপনি
আজ থেকে শুরু রংপঞ্চমী! এই সময় কোন কোন কাজ করলে জীবনে আর্থিক অভাব কাটবে, জানেন আপনি
চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে রংপঞ্চমী উৎসব পালন করা হয়। এই উৎসব কিন্তু একমাত্র হোলির পরে পালন করা হয়। হোলির ঠিক ৪ দিন পর এটি পালন করা হয়। এবাবের রংপঞ্চমী ২২ মার্চ, আজকে এই বিশেষ দিন। এই দিনে দেবতাদেও পুজো করা হয়। তাই একে দেবপঞ্চমীও বলা হয়ে থাকে। কথিত আছে, হোলির রং খেলার পর সেই রং রেখে সেই রং আজকের পঞ্চমীর দিন আবির খেলে সেই রং বাতাসে উড়িয়ে দেওয়ার। এতে করে দেবতারা সন্তুষ্ট হন। সেই সঙ্গে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। জীবনে আসে সুখ সমৃদ্ধি ও শাস্তি। শাস্ত্র ও জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, আজকের দিনে এমন কিছু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত যেটি করলে মা লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হয়। সেই ব্যক্তিকে দেবী ধন-সম্পদ, শান্তির জন্য আশীর্বাদ করে থাকেন।
এই দিনে কোন দেবতার পুজো করবেন
রং পঞ্চমীর দিন মাতা লক্ষী ও ভগবান বিষ্ণুর একসঙ্গে পুজো করা হয়। এছাড়াও লক্ষীর মন্ত্র জপ করা হয়। এই বিশেষ দিনে লক্ষ্মীবীজ মন্ত্র 'ওম শ্রীম শ্রীয়ে নমঃ' মন্ত্রটি জপ করুন। এর ফলে কয়েক দিনের মধ্যেই জীবনে আর্থিক সুখ দেখা দেবে। আর্থিক অর্থের অভাব কেটে যায়।
স্নানের জলে হলুদ মেশান
রংপঞ্চমীর দিন স্নানের জলে হলুদ ও গঙ্গা জল মিশিয়ে নিন। এটি করলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। এবং ভাগ্য বৃদ্ধিতে চাকরি-ব্যবসা সমস্যা থেকে মুক্তি হয়। যারা কর্মক্ষেত্রে যুক্ত আছেন তাদের কাজের ব্যবস্থা হয়। ব্যবসা যারা করছেন তাদের জীবনে আরও বেশি সফলতা আসে।
দেবতাকে মিষ্টি নিবেদন করুন
এই রং পঞ্চমীর দিন দেবী লক্ষ্মী পূজা করুন। সন্দেশ , চিনির মিষ্টি ইত্যাদি দিয়ে পুজো করুন। এটি দেবতাকে নিবেদন করুন। এটি করার পর বাড়ির মহিলাদের প্রসাদ দিন। তারপর বাকিদের মধ্যে বিতরণ করুন। তাহলে জীবনের আটকে থাকা অনেক সমস্যা আপনার কেটে যেতে পারে। সেই সঙ্গে আপনার অর্থের অভাব মিটে যাবে।
লক্ষী ও ভগবান বিষ্ণুর পুজো করুন
ভগবান লক্ষী ও ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা হয়। এই সময় বিশুদ্ধ জল ভরে রাখুন ঠাকুর ঘরে। সেই জল সারা বাড়িতে ছিটিয়ে দিন। এতে আপনার নেতিবাচকতা শক্তি দূর হবে। ঘরে আসবে ইতিবাচক শক্তি। যার জন্য ঘরে আপনার সুখ শান্তি সমৃদ্ধি বেড়ে উঠবে। একে অপরের সঙ্গে ভালোবাসা সম্পর্ক গড়ে উঠবে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পারিবারিক বিবাদের দাম্পত্য কলহ মিটবে। দাম্পত্য জীবনের সুখ আসবে।
কেন এই উৎসব পালন করা হয়
বলা হয়, রং পঞ্চমীর দিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রাধারাণীকে রং লাগিয়েছিলেন। যার কারণে এই রংপঞ্চমীর উৎসব পালন করা হয়। সাড়ম্বরে সঙ্গে এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। তাই রং পঞ্চমীর দিন রাধা-কৃষ্ণকে রং নিবেদন করুন। এতে জীবনে প্রেম সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। দেবদেবীর কৃপা পেয়ে থাকবেন জীবনে।
মীন রাশিতে তৈরি হচ্ছে বুধাদিত্য যোগ, এই সময় লাভবান হবেন এই রাশির জাতকরা