মোদী কেন '৫ এপ্রিল রাত ৯ টায় ৯ মিনিট'-কেই বেছে নিলেন! জ্যোতিষশাস্ত্র কী বলছে
মোদী কেন '৫ এপ্রিল রাত ৯ টায় ৯ মিনিট'-কেই বেছে নিলেন! জ্যোতিষশাস্ত্র কী বলছে
ভারত জুড়ে চলছে ২১ দিনের লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে অসামান্য দক্ষতা নিয়ে, প্রাণের ঝুঁকে সঙ্গে রেখেই করোনা মোকাবিলায় লড়াছেন চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী থেকে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সকলের প্রতি কুর্নিশ জানাতেই মোদী নয়া আর্জি রেখেছেন দেশবাসীর সামনে। ৫ এপ্রিল রাত ৯টায় . ৯মিনিট ঘরের লাইট বন্ধ রেখে বাড়ির বারান্দায় এসে প্রদীপ জ্বালানোর কথা বলেছেন তিনি। কেন মোদী এই দিন ও সময়কে বেছে নিলেন , তা নিয়ে জ্যোতিষবিদরা কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
সংখ্যা তত্ত্বের হিসাব কী বলছে?
আজকের দিন ও প্রধানমন্ত্রীর বেছে নেওয়া সময়ের মধ্যে একটি জ্যোতিষ যোগ রয়েছে বলে দাবি জ্যোতিষশাস্ত্রবিদদের। তাঁরা বলছেন, এর নেপথ্যে একটি গাণিতিক হিসাব রয়েছে। সেই হিসাব অনুযায়ী ৫ এপ্রিলের ৫ ও এপ্রিল মাসের ৪ সংখ্যা দুটি যোগ করলে ৯ হয়। আবার রাত ৯ টার সময়ের ৯ সংখ্যাটির সঙ্গে ৯ মিনিটের ৯ যোগ করলে ১৮ হয়। এবার ১৮ এর ১ ৮ যোগ করলে ফের ৯ হয়। আর এই ৯ ঘিরেই রয়েছে একাধিক ব্যাখ্যা।
৯ মঙ্গলের সংখ্যা!
জ্যোতিষবিদদের মতে ৯ মঙ্গল-এর সংখ্যা। মঙ্গল অর্থাৎ, জ্যোতিষশাস্ত্রে মানা হয় যে, কোনও বড় বাধা বিপত্তি কাটাতে মঙ্গলের আরাধনা প্রয়োজন। পাশপাশি এতে শক্তি বৃদ্ধি হয়। আর জ্যোতিষবিদদের দাবি, একযোগে রাতে প্রদীপ জ্বালানোর ঘটনা এই শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
৯ ও জ্যোতিষ শাস্ত্র
অনেকে বলছেন, বৈদিক হিসাব অনুযায়ী ৯ টি গ্রহের বা নবগ্রহের পুজোয় প্রয়োজন হয় আলোক প্রজ্জ্বলনের। আর নবগ্রহের পুজো কখনওই একা করা যায়না। এটি বহু সংখ্যক মানুষদের নিয়েই সম্পন্ন হয়। জ্যোতিষবিদদের দাবি, এতে বড় বিপত্তি কাটতে পারে।
বমন দ্বাদশী পর্ব
উল্লেখ্য, অনেক জ্যোতিষবিদ বলছেন ৫ এপ্রিল বমন দ্বাদশী পর্ব। এমন দিনে পৃথিবী সবচেয়ে বেশি রোদ সূর্যের থেকে শুষে নেয় বলে বৈদিক মত। আর সেই দিনে আলোক প্রজ্জ্বলনের প্রভাব সাম্প্রতিক সংকট কাটাতে পারে। এমনই মত বহু শাস্ত্রজ্ঞের।