রঙের উৎসব হোলিতে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির জন্য মেনে চলুন এই ১০টি বাস্তু টিপস
হোলিতে ১০টি বাস্তু টিপস
রঙের উৎসব হোলি বা দোল পালন করা হয় হিন্দু মতে ফাল্গুন মাসের শেষ পূর্ণিমাতে, যা ফেব্রুয়ারির শে্যে বা মার্চের প্রথমদিকে সাধারণত হয়। কিন্তু এ বছর মার্চের শেষে পালন করা হবে হোলি উৎসব। হোলি উৎসবের মধ্য দিয়ে বসন্তের আগমনকে যেমন স্বাগত জানানো হয় তেমনি হোলির আগের দিন রাতে হোলিকা দহনের মধ্য দিয়ে জীবনের মন্দ দিকগুলিকেও পুড়িয়ে ফেলে নতুনভাবে সূচনা করা হয়। এদিন বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা আপনার বাড়িতে আসেন এবং বিভিন রঙের আবির, মিষ্টি ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে দারুণভাবে এই দিনটি কাটে। হোলির মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনে সমৃদ্ধি ও একসঙ্গে থাকাকে যেমন পালন করি তেমনি এই উৎসব বাস্তুর ক্ষেত্রেও বেশ ভালো। হোলির দিনে সেরকমই ১০টি বাস্তু টিপস দেওয়া হল শুধু আপনার জন্য।
রাধা কৃষ্ণের সঙ্গে শুরু করুন হোলি উৎসব
রাধা-কৃষ্ণের আরাধনা এবং ভগবানের সঙ্গে নাচ-গান করে হোলি উৎসব অসম্পূর্ণ। ভারতের অধিকাংশ পরিবারই তাঁদের পরিবারের ভগবানের মূর্তিকে টেবিলে সাজিয়ে রেখে, প্রথম রং ও মিষ্টি তাঁদেরকে উৎসর্গ করে। এটা উৎসবের সঙ্গে সঙ্গে পরিবার ও বাড়ির সমৃদ্ধি বাড়ায়। তাই রং খেলার আগে প্রথমে ভগবানের পায়ে রং দিয়ে তারপর শুরু করুন হোলি খেলা।
বাড়ির প্রবেশ দ্বারে নিজের নামকে সাজিয়ে তুলুন
প্রবেশ দ্বার বা দরজার উপর আপনার নাম খোদাই করা কেবল সম্পত্তির মালিকানাকে জোরদার করে না, তবে ঘরের মধ্যে ইতিবাচকতা এবং সৌভাগ্য অর্জন করতে সহায়তা করে। এছাড়াও হোলির সময় আপনার বন্ধুরা সহজেই আপনার বাড়িও খুঁজে পাবে। বাড়ির প্রবেশদ্বার পরিস্কার এবং ফুল দিয়ে সাজিয়ে নিন আপনার নেমপ্লেটটিকে।
গণেশের পুজো
হোলি উৎসবের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল অথিথিদের ঠাণ্ডা দুধে ড্রাই ফ্রুট ও মিষ্টি মিশিয়ে খেতে দেওয়া। তবে বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের পানীয় অতিথিদের আগে ভগবান গণেশকে দেওয়া দরকার, তাতে সমৃদ্ধি বাড়ে। সুন্দর গণেশের মূর্তি বাড়ির বসার ঘরে রেখে প্রথমে ঠাণ্ডা পানীয় ভগবানকে দেওয়ার পর সমস্ত অতিথিরা একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে খেতে পারেন।
সুখের জন্য গোলাপি রং
গোলাপি রংটিকে সবচেয়ে স্নিগ্ধ ও মন ও হৃদয়ের জন্য উপযোগী হিসাবে ধরে বিশেষজ্ঞরা। তাই এই রঙের আসবারপত্র সহজেই বাড়িতে রাখা যায়, কারণ তাতে অতিথিরা হোলির সময় রঙিন পোশাকে বসলেও তা সহজে ময়লা হয়ে যাবে না।
জুতোর তাক
বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী জুতোর তাক কখনই দরজার বাঁপাশে হওয়া উচিত নয়, ডানদিকে জুতোর তাক সবসময় সৌভাগ্য নিয়ে আসে। হোলির সময় বাড়ির দরজা খোলাই রাখুন এবং অতিথিদের বলুন জুতো, ছাতা সব বাইরে রাখতে।
সুইমিং পুল
বাড়ির আঙিনায় ছোট সুইমিং পুল বা জলের কোনও জায়গা থাকা বাস্তুমতে শান্তি ও সম্প্রতি বজায় রাখে বাড়ির। যদি আপনার বাড়িতে তা না থাকে তবে এটাই সুবর্ণ সময় অল্প খরচে কোনও জলের জায়গা বা পুল তৈরি করে নিন। যাতে হোলির সময় সেই পুলটি কাজে লাগতে পারে।
রঙ্গোলি
যে কোনও শুভ উৎসবে রঙ্গোলি দেওয়া খুব ভালো বলেই মনে করা হয়। হোলির দিনও তা করা যেতেই পারে। উজ্জ্বল বর্ণের লাল, কমলা, সবুজ, নীল, হলুদ সহ নানা রং দিয়ে বাড়ির সামনে সুন্দর করে রঙ্গোলি আঁকতে পারেন। এতে বাড়িতে খুশি ও সমৃদ্ধি বাড়বে এবং অতিথিদের স্বাগত জানানোর জন্য একেবারে আদর্শ।
বাড়িতে নিয়ে আসুন উদীয়মান সূর্যকে
হোলির সময় যদি বাড়িটা একটু সাজাতে চান তবে বাড়িতে নিয়ে আসুন একটি উদীয়মান সূর্য। যা বাড়ির পূর্বদিকে টাঙানো থাকবে। এতে স্বাস্থ্যকর হবে সামাজিক সম্পর্ক এবং আপনার মধ্যে ইতিবাচক অনুভূতি জাগিয়ে তুলবে।
উইন্ড চিমস
এই বস্তুগুলি ফেংশুই এবং বাস্তু উভয় ক্ষেত্রেই সৌভাগ্যের আশ্রয়কারী হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং আপনি যদি এই হোলিতে আপনার বাড়ির জন্য কোনও ব্যয়বহুল সজ্জা সন্ধান করছেন তবে শৈল্পিক উন্ড চিমগুলি চেষ্টা করুন নিয়ে আসার যা ঘরকে সুরেলা আওয়াজ দিয়ে পূর্ণ করবে এবং সাদৃশ্য বজায় রাখবে।
বাড়ির প্রবেশদ্বারে গাছ লাগান
এই হোলিতে বাড়ির সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে বাড়ির প্রধান প্রবেশ মুখে গাছ লাগাতে পারেন। প্রচুর রঙিন গাছ রয়েছে যা হোলির রঙের সঙ্গে মিশে আপনার জীবনকে আরও রঙিন করে তুলবে। বাস্তু অনুসারে, পূর্বে সবুজ গাছপালা লাগানো যে কোনও সম্পর্ক বজায় রাখার জন্যও ভাল।