জানেন কোথায় আছে বেহুলা-লক্ষীন্দরের বাসর ঘর? পুজোর চার দিনের ছুটিতে চলে আসুন চম্পকনগরে
জানেন কোথায় আছে বেহুলা-লক্ষীন্দরের বাসর ঘর? পুজোর চার দিনের ছুটিতে চলে আসুন চম্পকনগরে
পুজোর ছুটির চার দিন বেড়িয়ে আসুন কলকাতার কাছে পিঠে। বেড়িয়ে আসুন চম্পক নগর থেকে। ছোট্ট গ্রামটির আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে মনসামঙ্গলের ছায়া। এই গ্রামটিতেই নাকি বাস করতেন চাঁদ সদাগর। শহর থেকে খুূব বেশি দূরে নয় এই চম্পক নগর। ট্রেন এবং সড়ক উভয় পথেই যাতায়ায় করা সম্ভব। গ্রামটিতে পা রাখলেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে মনসামঙ্গলের কাহিনী। ভেসে উঠবে বেহুলা-লক্ষীন্দরের কাহিনী।
কোথায় রয়েছে এই চম্পক নগর
মনসা মঙ্গল তৈরি হয়েছে যে জায়গাকে কেন্দ্র করে। তার নাম চম্পকনগর। গ্রামবাংলার আর পাঁচটা গ্রামের মতই এই চম্পক নগর। মেঠো রাস্তা থেকে শুরু করে শিবমন্দির, পাতকুঁয়ো, সবই রয়েছে এখানে। আর পাঁচটা গ্রামের মত হলেও চাঁদ সদাগরের জন্মস্থান বলে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে এই চম্পক নগরের। বর্ধমান জেলাতেই অবস্থান এই চম্পক নগরের। পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে দামোদর নদ। অনেকেই এখন এই গ্রামকে কসবা বলেই চেনেন। তবে চম্পকনগরের ঐতিহাস আজও অমলিন।
কী রয়েছে এই চম্পকনগরে
এই গ্রামে পা রাখলেই আঁচ করতে পারবেন মনসামঙ্গলের কাহিনী। চঁাদ সদাগরের বাড়ি থেকে বেহুলা লক্ষীন্দরের লোহার বাসরঘর সবকিছুর নিদর্শন রয়েছে এই চম্পকগ্রামে। বনিক চাঁদ সদাগর গ্রামের বিত্তশালী মানুষ ছিলেন। সেই সঙ্গে ছিলেন প্রবল শিবভক্ত। তাঁর তৈরি শিবমন্দির রয়েছে গ্রামে। যেটি ২ হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরা যায় না। গ্রামে শিবমন্দিরটি রামেশ্বর নামে পরিচিত গ্রামে। আজও সেই শিবমন্দিরে পুজো হয়। শিব মন্দিরের কাছেই রয়েছে বেহুলা-লক্ষীন্দরের লোহার বাসরঘর। যেটি তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা নিজে। মনসার কোপ থেকে পুত্রবধূ এবং ছেলেকে বাঁচাতে তৈরি করা হয়েছিল এই লোহার বাসরঘর। কিন্তু সেই লোহার বাসরঘরেও প্রবেশ করেছিল মনসা।
গাঙুর নদীর দেখা মেল
অনেকই হয়তো বলবেন চম্পক নগরের পাশ দিয়ে গাঙুর নদীর বয়ে যাওয়ার কথা। যাতে লক্ষীন্দরকে নিয়ে ভ্যালা ভাসিয়েছিল বেহুলা। বেহুলা-লক্ষীন্দরের লোহার বাসর ঘরের পাশেই রয়েছে একটি মরা খাল। গ্রামবাসীরা বলেন এটাই সেই গাঙুর নদী যাতে ভেলা িনয়ে ভেসেছিলেন বেহুলা।এই গ্রামে একাধিক জায়গায় রয়েছে মনসা মন্দির। যে মন্দিরে চাঁদ সদাগর ফুল দিয়েছিলেন মনসাকে সেই মন্দিরটিও রয়েছে এই গ্রামে। শ্রাবণ মাসে এই গ্রামে বিশাল মেলা বসে। মনসা পুজো হয় মহা ধূমধাম করে।
কীভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে ট্রেনে বা সড়ক পথে যাওয়াযায় চম্পক নগরী। পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড় থেকে সড়ক পথে যেতে হবে। আবার বুদবুদ থেকেও যাওয়া যায় এখানে। ট্রেনে পানাগড় এসে সেখান থেকে যাওয়া যায় চম্পকনগর পা চম্পাইনগর। কাছেই রয়েছে দুর্গাপুর ব্যারাজ। গ্রাম দেখে অনায়াসে বেড়িয়ে আসা যায় সেখান থেকে। পুজোর ছুটির চারটি দিনে ছোট্ট ট্যুরের মন্দ হবে না চম্পক নগর বা চম্পাই নগর।
জানেন কী বিশ্বের প্রথম দুর্গাপুজো কোথায় হয়েছিল, পুজোর ছুটিতে চলে আসুন গড় জঙ্গলে