পৌষমেলা তো গিয়েছেন! শান্তিনিকেতনের 'নন্দন মেলা' ঘুরেছেন কখনও, মন ভালো হয়ে যাবে
এই সপ্তাহের উইকেন্ডেই পড়ছে ২ রা ডিসেম্বর, অর্থাৎ শনিবার। সেদিনই পাড়ি দিতে পারেন লাল মাটির দেশ শান্তিনিকেতনে।
শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার কথা সবাই জানেন, তবে তার আগে নভেম্বরের শেষ আর ডিসেম্বরের শুরুতেই চলে বিশ্বভারতীর কলাভাবনের 'নন্দন মেলা' । শুধু এই মেলার রূপ দেখতেই পাড়ি দিতে পারেন লাল মাটির দেশ শান্তিনিকেতনে। নিত্যদিনের চিন্তাভাবনা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হলে কয়েকদিনের শান্তিনিকেতন সফর এক্কেবারে মন ভালো করা 'টনিক'-এর মতো কাজ করে। আর এর অন্যতম আকর্ষণ হল নন্দন মেলা। জেনে নেওয়া যাক এই মেলা সম্পর্কে কিছু তথ্য।
নন্দন মেলা
শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীর কলা ভবন ক্যাম্পাসে এই শিল্পভাবনামূলক মেলা প্রতিবছরই ১ ও ২ ডিসেম্বর দুদিন ধরে আয়োজিত হয়। মেলার মূল আকর্ষণ অবশ্যই শিল্পচিন্তা। তাই সাধারণ আর চারপাঁচটা মেলার থেকে নন্দন মেলার 'স্বাদ' অকটু অন্যরকমের। সবমিলিয়ে এই মেলার সুখময় অভিজ্ঞতা আপনাকে অন্য এক স্তরে উন্নিত করবে।
নন্দন মেলার কাহিনি
ভারতীয় চিত্রশিল্পের ইতিহাসে অন্য়তম প্রখ্যাত একটি নাম নন্দলাল বসু। বিশ্বভারতীর কলাভবনের প্রিন্সিপাল পদে তিনি আসীন হন ১৯২২ সালে। তাঁর প্রখ্যাত কীর্তিকে স্মরণে রেখেই তাঁর নামঙ্কিত এই মেলা আয়োজিত হয় প্রতি বছর।
১,২ ডিসেম্বর মেলা
নন্দলাল বসুর জন্মদিন ১৮৮২ সালের ৩ ডিসেম্বর। সেই উপলক্ষ্যে তাঁর জন্মদিনের আগের দু'দিন শান্তিনিকেতনের কলাভবন চত্বরে আয়োজিত হয় এই ভিনস্বাদের মেলা।
মেলার রকম
নন্দন মেলা জুড়ে এক কথায় বেশ আলাদা একটা মেজা থেকে যায়। সুক্ষ্ম শিল্পভাবনার সঙ্গে কখনও বন্ধুত্ব পাতায় গান , তোকখোনও প্রযুক্তি, কখনও বা নাচ। আর তার মিশেলে কলাভবন চত্বরে একটা জমজমাট পরিবেশ তৈরি হয়।
কী কী পাওয়া যায় মেলায়
গয়না ,পেন্টিং, মাটির বাসন, সেরামিক, ডোকরা, কী না পাওয়া যায় এই মেলায়। শৌখিন সমস্তরকমের সামগ্রী মেলে এই মেলায় । মূলত, কলাভবনের ছাত্রছাত্রীরাই এই মেলার আয়োজনে বিভিন্ন স্টেল সামগ্রী নিয়ে বসেন। উল্লেখ্য, তাঁরা নিজের হাতে এই সামগ্রী বানান। এমন এক মেলায় গেলে যে কারোরই মন ভালো হতে বাধ্য।
[আরও পড়ুন:'হানিমুন'-এ সঙ্গীকে তাক লাগাতে চান! ঘুরে আসুন দেশের এই 'অফবিট' জায়গাগুলির একটিতে]
[আরও পড়ুন:চিতোরগড়ের এই জায়গাতেই পদ্মিনীকে দেখেছিলেন খিলজি , জানুন 'পদ্মিনীমহল' ঘিরে আজানা তথ্য]