দক্ষিণের নামচিতে যেন সিকিমের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক
দক্ষিণের নামচিতে যেন সিকিমের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক
ভ্রমণের প্রেক্ষাপটে সিকিমের যে যে শহর ঝড়ের গতিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, তাদের মধ্যে নামচির নাম থাকবে সবচেয়ে ওপরে। দক্ষিণের এই শহরকে রাজ্যের সাংস্কৃতিক রাজধানীও বলে থাকেন অনেকে। এর পিছনে কি কারণ, তা ওই স্থানে না গেলে বোঝা যাবে না।
অবস্থিতি
সমতল থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থিত নামছি সিকিমের পশ্চিম জেলায় অবস্থিত। মেলী থেকে জোরেথাংগামী রাস্তায় পর্যটকদের মন জয় করতে অবস্থান করছে নামচি। যার অর্থ স্কাই হাই বা উচ্চ আকাশ।
কীভাবে যাবেন
নিউ জলপাইগুড়ি ও বাগডোগরা থেকে যথাক্রমে ৯০ ও ৯৬ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত নামচিতে সড়কপথে পৌঁছতে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা লাগার কথা। রাস্তা খারাপ থাকলে চার ঘণ্টাও সময় লেগে যেতে পারে। কেউ গ্যাংটকের সঙ্গে তো কেউ কেবল নামচি যাওয়ার পরিকল্পনা করে ফেলেন।
দর্শনীয় স্থান
১) টেমি টি গার্ডেন : নামচি যাওয়ার পথে গাাড়ি থামিয়ে দেখে নেওয়া যায় টেমি টি গার্ডেন। বিরাট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই চা বাগান সিকিমে একমাত্র এবং গুন সম্পন্নও বটে।
২) নামচির অন্যতম আকর্ষণের স্থান ভারতের বিখ্যাত চার ধামের প্রতিকৃতি। তা দেখতে ভিড় জমান পর্যটকরা।
৩) গুরু পদ্মসম্ভাবার বিরাট মূর্তি নামচিকে আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত করেছে।
৪) পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা নামচি হেলিপ্যাড থেকে আকাশ পথে বাগডোগরা পৌঁছে যায়।
৫) নামচি থেকে সাত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সামড্রুপটসে মনাস্ট্রিতে নাকি সব মনোবাঞ্চা পূরণ হয়।
৬) নামচি রক গার্ডেন এবং নাডাক মনাস্ট্রি এই এলাকার অন্যতম আকর্ষণ।
কোথায় থাকবেন
পর্যটকদের জন্য নামচিতে হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং হোম-স্টে তৈরি করে দিয়েছে সিকিম সরকার। কলকাতা থেকেই ঘর বুকিং করা যায়।
পশ্চিম সিকিমের প্রাণ গেজিংয়ে কাঞ্চনের দর্শন মেলে কাছ থেকে