কেন এখনও ক্ষতিপুরণের টাকা দেননি? গাফিলতি সহ্য নয়! রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের
করোনাতে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত মামলাতে কলকাতা হাইকোর্টের তোপের মুখে রাজ্য সরকার। কেন এখনও পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি সে বিষয়ে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের। একই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কোনও গাফিলতি আদালত
করোনাতে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত মামলাতে কলকাতা হাইকোর্টের তোপের মুখে রাজ্য সরকার। কেন এখনও পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি সে বিষয়ে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের। একই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কোনও গাফিলতি আদালত সহ্য করা হবে না বলেও আদালতের পর্যবেক্ষণ।
আজ বৃহস্পতিবার করোনাতে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। আর সেই শুনানিতে কার্যত রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তুলতে থাকে ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন শুনানিতে রাজ্যের কাছে ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, কেন এখনও ক্ষতিপুরণের টাকা দেননি? আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্যের আইনজীবী জানান, খুব শীঘ্র করোনাতে আক্রান্ত এবং মৃতদের পরিবারকে টাকা দেওয়া হবে। কার্যত এই উত্তরে কিছুটা ক্ষুব্ধ হয় কলকাতা হাইকোর্ট। এই প্রসঙ্গে আদালতের কড়া পর্যবেক্ষণ, 'এই অতিমারীর সময় কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করব না।'
শুধু তাই নয়, রাজ্য কি পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলতে চাইছে? তা নিয়েও কলকাতা হাইকোর্টের তোপের মুখে পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে। শুধু তাই নয়, 'দিয়ে দেওয়া হবে', এই কথার কোনও যুক্তি হয় না বলেও পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। আদালতের তোপের মুখে পড়ে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যান সরকারি আইনজীবী।
শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। 'কতজন ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছেন, কবে করেছেন? কতজন ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, কতজন পাননি, আর কেন পাননি?' সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে এই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১২ অগস্টের মধ্যে এই হলফনামা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনাতে মৃতদের ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না সেই সংক্রান্ত বিষয়ে গত কয়েকদিন আগে সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়ে কেন্দ্র। এজন্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০০৫-এর বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের সংস্থান অনুযায়ী, করোনায় মৃতদের পরিবারগুলি চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের হয়েছিল। উল্লেখ্য আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। মূলত তৃতীয় ওয়েভ নিয়ে এই বৈঠক আলোচনা হয়। ভ্যাকসিন সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়।