নারদা মামলায় কেন ছাড় শুভেন্দু-মুকুলদের? হাইকোর্টের দ্বারস্থ কংগ্রেস নেতা
করোনা মহামারী নিয়ে যখন গোটা দেশে তুমুল সংকট। ঠিক তখনই বঙ্গের রাজনীতি তোলপাড় করে তুলল সিবিআই। সাত সকালে তিন তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তার মধ্যে দুই জন মন্ত্রী। ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখ
করোনা মহামারী নিয়ে যখন গোটা দেশে তুমুল সংকট। ঠিক তখনই বঙ্গের রাজনীতি তোলপাড় করে তুলল সিবিআই। সাত সকালে তিন তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তার মধ্যে দুই জন মন্ত্রী। ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
গ্রেফতার করা হয় শোভন চট্টয়াপাধ্যায়কে। অত্যন্ত সুপরকল্পিত পথেই তাঁদের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। একেবারে ঘিরে ধরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। নিজাম প্যাসলেসে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁদের সকলকে গ্রেফতার করা হয়।
মুকুল-শুভেন্দুর নাম না থাকা নিয়ে জল্পনা
সোমবার সাত সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের চার বিধায়ককে গ্রেফতার করল সিবিআই। নারদ স্টিং অপারেশন কাণ্ডে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু এই কাণ্ডে কোথাও নাম নেই মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর। মুকুল রায়ের নামও কিন্তু এই স্টিং অপারেশনে জড়িয়েছিল। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে এখনও পরজত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ফলেই কি ছাড়? প্রশ্ন উঠতে থাকে। মদন মিত্র বলেন, মুকুল-শুভেন্দু সাধু। আর আমরা কি চোর? বিজেপিতে যোগ দিলেই সব মাফ?
জবাব দেয় সিবিআই
সিবিআই এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। তাঁদের দাবি মুকুল রায়কে ভিডিওতে টাকা নিতে দেখা যায়নি। তাই তদন্তে ক্ষেত্রে মুকুল রােয়র বিরুদ্ধে তেমন পোক্ত প্রমাণ মেলেনি। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। এছাড়াও মুকুল রায় রাজ্যসভার সাংসদ থাকাকালীন এই ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু তার পরেও মুকুল রায়ের গ্রেফতারি বা তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য রাজ্য সভার স্পিকারের কাছে কোনও আবেদন সিবিআই জানায়নি।
মামলা গড়াল হাইকোর্ট
নারদ মামলায় সকল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হোক। শুধুমাত্র ৪ জনকে গ্রেপ্তার করলে চলবে না। মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে নারদ কাণ্ড সবার সামনে আসে। তারপর সিবিআই তদন্তে শুরু হয়। আর এই মামলায় যাতে অভিযুক্তরা সকলেই শাস্তি পায় সেইজন্য আমি কলকাতা হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলাম। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে শুধুমাত্র ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হল অথচ মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিল না সিবিআই। তাই ফের হাইকোর্টের কাছে দারস্থ হয়েছি।
আদালতে কি জানালেন আবেদনকারী
সেখানে তিনি জানিয়েছেন, নারদ স্টিং অপারেশমনের ভিডিওতে মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীও টাকা নিয়েছিলেন। সুতরাং তাঁদের এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া চলবে না। একই সগে ওই এটা জানিয়েছেন, নারদ কাণ্ডে যে টাকা দিয়েছিল এবং যাঁরা হাত পেতে টাকা নিয়েছিল। এরা সকলেই অপরাধী। অপরাধ যখন করেছে শাস্তি হওয়া দরকার। তাঁকে সিবিআই ডেকে ছিল বলেও জানান ওই কংগ্রেস নেতা। সেই সময় তদন্তকারীদের তিনি জানিয়ে ছিলেন, যেভাবে বাংলার নেতা-মন্ত্রীরা হাত পেতে ঘুষের টাকা নিচ্ছিলেন এতে বাংলার অপমান হয়েছে। ফলে সবাইকে শাস্তি দিতে হবে।