১২ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগের যাবতীয় তথ্য চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি! পুরানো টুইট তুলে মমতাকে আক্রমণ ধনখড়ের
দীর্ঘদিন চুপ থাকার পর ফের একবার জ্বলে উঠলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এক বছর আগে চাওয়া তথ্য এখনও নাকি তাকে দেওয়া হয়নি। আর সেই বিষয়ে ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে টার্গেট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
দীর্ঘদিন চুপ থাকার পর ফের একবার জ্বলে উঠলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এক বছর আগে চাওয়া তথ্য এখনও নাকি তাকে দেওয়া হয়নি। আর সেই বিষয়ে ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে টার্গেট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
যা নিয়ে নতুন করে ফের একবার নবান্ন-রাজভবন সংঘাত তুঙ্গে।
শুধু তাই নয়, রাজ্যপালকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। রাজ্যপাল ধনখড়ের টুইটকে রিটুইট করে কুণালের পরামর্শ আপনি সুকুমার রায়ের পাগলা দাশু পড়ুন।
গত কয়েকদিন আগে হঠাত করে দিল্লি উড়ে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। দফায় দফায় অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন। শুধু তাই নয়, একাধিক মন্ত্রকেও মন্ত্রীদের সঙে বৈঠক করেছেন। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দিল্লি যাওয়ার আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙে বৈঠক করে যান রাজ্যপাল। তবে কি কারণে তাঁর এই সফর ছিল সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট জানা যায়নি।
তবে একাধিক জল্পনা তৈরি হয়। তবে দিল্লি থেকে ফেরার প্রায় মাস ঘুরতে চললেও তেমন ভাবে রাজ্যপালকে সেভাবে সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে না। অন্তত যেভাবে ভোটের পর থেকে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলছেন তাতে অনেক সময়ে শাসকদলের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যপালের ভূমিকা শুধুমাত্র নীরব দর্শকের মতো! কোনও কিছুতেই তেমনটা টুইট করতে দেখা জাচ্ছিল না তাঁকে।
এমনকি রাজ্যপাল তাঁকে ব্ল্যাকমেল করছে বলেও মমতা অভিযোগ করে ছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনও পাল্টা বক্তব্য দেননি ধনখড়। তবে আজ বৃহস্পতিবার হঠাত করে ফের একবার টুইটারে সক্রিয় হলেন রাজ্যপাল ধনখড়। সরাসরি একবার আগে করা একটি টুইট তুলে ধরে মমতাকে আক্রমণ।
অভিযোগ, এক বছর আগে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চাইলেও রাজ্য এখনও তা পাঠায়নি। টুইটারে লিখলেন, "২০২০ সালের ২৫ আগস্ট ১২ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগের যাবতীয় তথ্য চেয়েছিলাম। কিন্তু এখনও তা পাইনি। একবছরে কোনওরকম উত্তর পাইনি।"
টুইটে গতবছর মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিটিও জুড়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। যদিও এর আগে একাধিকবার বানিজ্য সম্মেলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। এই সম্মেলন আয়োজনে আর্থিক কেলেঙ্কারি হিয়েছে বলেও অভিযোগে সরব হন তিনি। কার্যত সেই সময়ে রাজ্যের তরফে এই বিষয়ে কোনও কর্ণপাত করা হয়নি।
এবারও ঠিক পরিস্থিতি এক। এক তৃণমূল নেতার কথায়, চুপ ছিলেন তো। আবার কি হল্ল ওনার? শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কোনও খুত দেখতে পাচ্ছেন না বলে কি পুরানো জিনিস তুলে আনা হচ্ছে বলেও তোপ দেগেছেন ওই নেতা। তবে তাঁর মতে, ওনার কথায় খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ সরকার।
সম্প্রতি রাজ্যে শিল্পায়ন নিয়ে নয়া নীতি ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের সরকার। পানাগড় শিল্পতালুকে ৪০০ কোটির পলিফিল্মের কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ওয়েস্টবেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল বোর্ড গঠনের কথা। আর এই অবস্থায় নতুন করে বানিজ্য সম্মেলনের তথ্য তুলে এনে রাজ্যকে খোঁচা দেওয়ার সুযোগ ছাড়লেন না রাজ্যপাল।