ভোটব্যাঙ্ক আর তুষ্টিকরণের রাজনীতি! বাংলায় এবার পরিবর্তন হবেই, বললেন প্রধানমন্ত্রী
কেউ দমাতে পারবেন না। বাংলায় এবার পরিবর্তন হবেই। বিজেপি সোনার বাংলার লক্ষ্যে কাজ করবে। এদিন হুগলির সাহাগঞ্জের বিজেপির (bjp) সভায় এমনটাই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi)। উন্নতির সামনে বাধা হয়ে দ
কেউ দমাতে পারবেন না। বাংলায় এবার পরিবর্তন হবেই। বিজেপি সোনার বাংলার লক্ষ্যে কাজ করবে। এদিন হুগলির সাহাগঞ্জের বিজেপির (bjp) সভায় এমনটাই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi)। উন্নতির সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল (trinamool congress)। এমনটাই অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আমরা আসল পরিবর্তন চাই
প্রধানমন্ত্রী এদিন ভাষণ শুরু করেন বাংলায়। শুরুতেই তিনি হুগলির তারকেশ্বর আর মাহেশের নাম উল্লেখ করেন। বলেন দেরি করলে হবে না। আসল পরিবর্তন আনতে হবে। বলেন বাংলায় এবার পরিবর্তন হবেই। তিনি বলেন বাংলার মানুষ মন করে নিয়েছেন। আমরা আসল পরিবর্তন চাই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন. আজ রেল ও মেট্রো উপহার দেবেন তিনি। নোয়াপাড়া, দক্ষিণেশ্বর মেট্রো চালু হলে আশপাশের একাধিক জেলা উপকৃত হবে।
বাংলায় শুধু ভোটব্যাঙ্ক আর তুষ্টিকরণের রাজনীতি
এদিন প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, এখানকার রাজনৈতিক দল মানুষের সঙ্গে রাজনীতি করছে। বাংলায় দেশভক্তির বদলে শুধু ভোটব্যাঙ্ক আর তুষ্টিকরণের রাজনীতি হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। বাংলার সংস্কৃতিকে অপমানের অভিযোগও তিনি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ফুল পরিবর্তন হলেই সবকিছুর পরিবর্তন হবে। বিজেপি সোনার বাংলা গড়ে তুলবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বাংলায় বিজেপির সরকার হলে বাঙালি নির্ভয়ে নিজের সংস্কৃতি চর্চা করতে পারবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
উন্নয়নে বাধা তৃণমূল
হুগলির সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্যে কিষাণ সম্মান এবং আয়ুষ্মাণ ভারত প্রকল্প চালু করতে বাধা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। ঘরে ঘরে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছনোর কাজও এই রাজ্যে সন্তোষজনক নয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি বলেন এই প্রকল্পে বাধা দিয়েছে তৃণমূল সরকার। তিনি বলেছেন, ১.৫ কোটি থেকে ১.৭৫ কোটি বাংলার ঘরের মধ্যে মাত্র ২ লক্ষ বাড়িতে পাইপের জল ছিল। কেন্দ্র জোর দেওয়ার পর এখন মাত্র ৯ লক্ষ হয়েছে। সারা দেশে হয়েছে ৩ কোটি ঘরে। তিনি প্রশ্ন করেন, যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা কি এই সরকারকে ক্ষমা করবেন?
বাংলায় উন্নয়নের বাধা কাটমানি
হুগলির মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একসময়ে হুগলির নাম শিল্পে উল্লেখযোগ্য ছিল। লোহা, ইস্পাত যেত বাইরে। কিন্তু এখন সেসব নেই। সারা ভারতে জুটের ব্যবহার বাড়লেও, এখানকার জুটশিল্প ধুঁকছে। কাটমানি আর সিন্ডিকেটের কারণেই বাংলা পিছিয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, বাংলায় বাড়ি ভাড়া নিতে গেলেও কাটমানি লাগে। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন বিদেশে প্রবাসী ভারতীয় সম্মেলনে গিয়েও তিনি অনাবাসী ভারতীয়দের থেকে বাংলা সম্পর্কে অভিযোগ পেয়েছেন। এখানে শিল্পস্থাপন করতে গেলেও কাটমানি চাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শুভেন্দু অধিকারীর থেকে নন্দীগ্রাম 'রক্ষা', উপায় বের করে ফেলেছেন প্রশান্ত কিশোর