কুঁড়ে ঘরে থেকেই হবে কাজ, নন্দীগ্রামকে নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানালেন মমতা
নন্দীগ্রাম (nandigram) তাঁর অনেক কাছের, কাছের সেখানকার মানুষজনও। সেখানকার আন্দোলনের সাথী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) । সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলে ভবিষ্যতে নন্দীগ্রামে কুঁড়ে
নন্দীগ্রাম (nandigram) তাঁর অনেক কাছের, কাছের সেখানকার মানুষজনও। সেখানকার আন্দোলনের সাথী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) । সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলে ভবিষ্যতে নন্দীগ্রামে কুঁড়ে ঘর (hut) তৈরি করে থাকবেন তিনি। আপাতত সেখানে বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
৭০-৩০ নয়, আমরাই ১০০, প্রশান্ত কিশোরের অঙ্কে নন্দীগ্রামে টার্গেট স্পষ্ট করলেন মমতা
রেয়াপাড়ায় আপাতত ভাড়া বাড়ি
ব্যাটেল গ্রাউন্ড নন্দীগ্রাম। বিরোধী ভূমিপুত্রের মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি নন্দীগ্রামে দলীয় কর্মিসভায় সেকথা নিজেই জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় আগামী ১ বছরের জন্য বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। সেখানে তিনমাস অন্তর আসবেন। এরপর সেখানে ভবিষ্যৎ সময়ের জন্য একটা কুঁড়ে ঘর করে নেবেন তিনি। সেখান থেকে হবে কাজ। জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
নন্দীগ্রাম নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
কর্মিসভায় নন্দীগ্রাম নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এই কেন্দ্রকে তিনি মডেল হিসেবে গড়ে তুলবেন। এই কেন্দ্রে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ও গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে এই নন্দীগ্রামের ঘরে ঘরে কোনও বেকার থাকবে না। নন্দীগ্রামে কোনও নিরক্ষর থাকবে না বলে আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কর্মিসভায় বলেন, ভুলতে পারি নিজের নামন, ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম। তাঁর দু চোখ জুড়েই শুধু নন্দীগ্রাম রয়েছে বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, গ্রামের দিকে তাঁর বরাবরের টান। ছাত্র জীবনে যখনই সময় পেয়েছেন, বীরভূমে মামার বাড়িতে গিয়ে ধান বুনেছেন, ধান কেটেছেন।
বহিরাগত নই, বাংলার মেয়ে
ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহিরাগত বলে নন্দীগ্রামে পোস্টার পড়েছে। শুভেন্দু অধিকারীও নাম না করে তাঁকে বহিরাগত বলেই উল্লেখ করেছেন। এর জবাব দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, দলের কর্মীরা যদি মনে করেন, তাঁর এখানে দাঁড়ানো উচিত নয়, তাহলে তিনি মনোনয়ন জমা দেবেন না। বহিরাগত প্রশ্নে জবাব দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি বাংলার মেয়ে। তিনি সেখানকার আন্দোলনকারী। কীভাবে তাঁকে বহিরাগত বলা হয়, প্রশ্ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গুজরাত থেকে, দিল্লি থেকে এসে বাংলার লোক হয়ে গেলেন, আর তিনি বহিরাগত? তাহলে তো তাঁর মুখ্যমন্ত্রীই হওয়া উচিত নয় মন্তব্য করেছেন তিনি।