ট্যাবের পর এবার পড়ুয়াদের জন্য নয়া চমক! ভোটের আগেই বিলির সিদ্ধান্ত মমতার
ট্যাবের পর এবার পড়ুয়াদের জন্য নয়া চমক! ভোটের আগেই বিলির সিদ্ধান্ত মমতার
ভোটের আগেই রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য নয়া চমক দিতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে ট্যাব (tab) কেনার জন্য একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারের তরফে। এবার স্কুলে স্কুলে ফুটবল (football) বিতরণের কথা ভারছে রাজ্য সরকার।
বিনামূল্যে অনেক কিছু পায় ছাত্রছাত্রীরা
রাজ্যের সরকারি কিংবা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে বিনামূল্যে অনেক কিছুই দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। একদিকে যেমন বিনামূল্যে সাইকেল দেওয়া হয়, ঠিক তেমনই বই, খাতা, পোশাক এবং জুতোও দেওয়া হয়। পুজোর পরবর্তী সময়ে স্কুলগুলি না খোলায় উচ্চ শ্রেণির পড়ায় অসুবিধা হচ্ছিল। সেই কথা মাথায় রেখে একাদশ ও দ্বাশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকা ইতিমধ্যে ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ট্যাব কেনার জন্য। বেসরকারি স্কুলগুলিতে যেভাবে স্মার্ট ফোনে পড়াশোনা করছে ছাত্রছাত্রীরা, ঠিক তেমনই সরকারি স্কুলের উচ্চ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা যাতে পড়ার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে পারে সেই জন্যই এই ব্যবস্থা। যদিও এর ভিন্ন চিত্রও দেখা গিয়েছে কোনও কোনও জায়গায়। ট্যাব কেনার টাকা অ্যাকাউন্টে জমা হওয়ার পরে নাচগানে মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে ছাত্রদের।
এবার স্কুল স্কুলে ফুটবল
করোনা পরিস্থিতিতে গতবছরের মধ্য মার্চ থেকে রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ। তবে এর মধ্যেও মিড ডে মিলের খাদ্য সামগ্রি ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে স্কুলের তরফে। করোনা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হলে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করার কথাও ভাবছে রাজ্য সরকার। এরই মধ্যে খেলাধূলায় ছাত্রছাত্রীদের আরও বেশি করে উৎসাহ দিতে চায় রাজ্য সরকার। যার জন্য স্কুলগুলিতে এবার ফুটবল দেওয়ার কথা চিন্তা করছে রাজ্য সরকার। তবে এই কাজ ভোটের আগেই সম্পন্ন করা হবে বলে সূত্রের খবর।
সংশোধনাগারের আসামীরা তৈরি করেছেন ফুটবল
সংশোধনাগারে বন্দি থাকাই নয়, সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিয়ে থাকে কারা দফতর। গান, আবৃত্তি, অভিনয় যেমন তাঁরা করেন, সেই সঙ্গে হাতের কাজও করে থাকেন তাঁরা। সেইরকমই হাতের কাজ হল ফুটবল তৈরি। ইতিমধ্যেই তাঁরা প্রায় একলক্ষ ফুটবল তৈরি করেছেন। কারা দফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৫০ হাজার ফুটবল ইতিমধ্যেই খেলায় ব্যবহার করা হয়েছে। বাকিগুলিকে স্কুলে বিতরণের কথা ভাবা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এব্যাপারে বিশেষভাবে উৎসাহী বলেও জানা গিয়েছে।
ক্লাবকে নয়, স্কুলেই ফুটবল
রাজ্যের যুব ও ক্রীড়া দফতর ক্লাবগুলিকে প্রতিবছর সরকারি সাহায্য করে থাকে। ফুটবল ছাড়াও ক্যারম বোর্ড কেনার টাকাও দেওয়া হয় ক্লাবগুলিকে। তাই সংশোধনাগারে তৈরি ফুটবলগুলিকে ক্লাবে না দিয়ে স্কুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে বলে রাখা ভাল ফুটবলগুলিকে বিধায়কদের হাত দিয়ে বিধানসভা এলাকায় বিলির কথাও ভাবা হয়েছিল, কিন্তু তা শোনার পরেই নাকচ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।