সংখ্যায় আটকে আব্বাসের সঙ্গে জোট, মঙ্গলবার বাম-কংগ্রেসের 'চূড়ান্ত' আলোচনা
আসন সমঝোতা নিয়ে এদিন ফের বৈঠকে বসতে চলেছে বাম-কংগ্রেস (left and congress) নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, সোমবার আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা করতে আব্বাস সিদ্দিকির (abbas siddiqui) ভাই নৌশাদের (naushad siddiqui) সঙ্গে আলোচনা করেন বাম নেতৃত্ব। এই মুহুর্তে সংখ্যায় আটকে গিয়েছে আসন সমঝোতা।
মিঠুনের বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাত ভাগবতের, পশ্চিমবঙ্গে ভোটের আগে জল্পনা তুঙ্গে

সোমবার রাতে সূর্য-সেলিমের সঙ্গে আলোচনা
রাজ্যে বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ জোটের কাজ আরও এগিয়েছে। সোমবার রাতে মহঃ সেলিম এবং সূর্যকান্ত মিশ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রধান পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির ভাই নৌশাদ সিদ্দিকি। তবে সেই বৈঠকে ৭২ টি আসনের দাবিতে অনড় থেকেছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। তবে সিপিএম-এর তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে খুব বেশি হলে ৪০ থেকে ৪৫ টি আসন ছাড়া যেতে পারে। একইসঙ্গে বামেদের তরফে নৌশাদকে বার্তা দেওয়া হয়েছে আসন নিয়ে নমনীয় হতে হবে।

বাম-কংগ্রেসের আলোচনা
এদিন দুপুরে বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্যের বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজ্যের ২৯৪ টি আসনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৯৩ টি আসনে নিজেদের সমঝোতার কথা জানিয়েছে বাম-কংগ্রেস। এর মধ্যে বামেরা ১০১ টি আসনে এবং কংগ্রেস ৯২ টি আসনে লড়াই করবে বলে জানিয়েছে। লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি রয়েছে ১০১ টি আসনে। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের ৭২ টি আসনের দাবি। যা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। যদি শেষ পর্যন্ত আব্বাস সিদ্দিকিরা ৪০ থেকে ৪৫ টি আসনে রাজিও হয়ে যান, তাহলেও, সমঝোতা হওয়া ১৯৩ টি আসনের মধ্যে থেকেও তার বন্দোবস্ত করতে হবে। মঙ্গলবারের বৈঠকে রফা সূত্র মিললে পরে বুধবার ফের ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে। সেক্ষেত্রে বুধবার ১৭ ফেব্রুয়ারি আসনরফা চূড়ান্ত করার কথা ঘোষণা করা হতে পারে।

নারাজ কংগ্রেস
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট যেসব জেলায় আসনের দাবি করেছে তার মধ্যে রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরে। কিন্তু কংগ্রেস কোনও ভাবেই মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর নিয়ে সমঝোতায় আসতে রাজি নয়।

বিজেপি ও তৃণমূলের কাছে ফ্যাক্টর হতে পারে এই আসন সমঝোতা
যদি কোনও ভাবে বাম-কংগ্রেস আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে আসন সমঝোতায় পৌঁছে যায়, তাহলে তা বিজেপি ও তৃণমূলের কাছে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমনটাই মনে করছেন ভোট বিশ্লেষকরা। তবে এক্ষেত্রে তৃণমূলের ওপরেই বেশি প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। হিসেব গড়মিল হতে পারে বিজেপিরও।