রাজ্যে বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা কমল, ২১-এর লড়াইয়ে অ্যাডভান্টেজ গেরুয়া শিবিরের
রাজ্যে বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা কমল, ২১-এর লড়াইয়ে অ্যাডভান্টেজ গেরুয়া শিবিরের
আলাদা ভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ঘোষণা করেও, সরে এল হিন্দু সংহতি (hindu samhati)। তবে প্রথমদফা নির্বাচনের আগেই সিদ্ধান্ত বদল। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁরা আলাদা ভাবে প্রার্থী (candidate) না দিয়ে বিজেপিকে (bjp) সমর্থন করার কথা জানিয়েছেন।
ফেব্রুয়ারিতে আলাদা লডা়ইয়ের ঘোষণা
ফেব্রুয়ারিতে আলাদা দলের কথা ঘোষণা করেছিল হিন্দু সংহতি। তাদের রাজনৈতিক দলের নাম দেওয়া হয়েছিল জন সংহতি। নজরে ছিল হিন্দু ভোটাররা। পাশাপাশি রাজ্যের ১৭০ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথাও জানিয়েছিল তারা। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গে ৪০ এবং দক্ষিণবঙ্গের ১৩০ টি আসনের কথা জানিয়েছিলেন হিন্দু সংহতির প্রধান দেবতনু ভট্টাচার্য। ১৪ ফেব্রুয়ারি হিন্দু সংহতি প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করে। এবার সেদিনই তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা ঘোষণা করে। ২০১৭ সালে বসিরহাটে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের সময় দলের নেতা তপন ঘোষের নাম সংবাদ শিরোনামে এসেছিল। যদিও তপন ঘোষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন।
সিদ্ধান্ত বদল
হিন্দু সংহতির ঘোষণার পরেই বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা তৎপরতা শুরু করে দেন। কেননা হিন্দু সংহতি বিজেপিরই ভোট কাটত। হিন্দু সংহতির প্রধান দেবতনু ভট্টাচার্য সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, হিন্দু সমাজের ক্ষতি হোক এমন কিছু তারা চাইছেন না। তারা এবার বিজেপিকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, যখন তারা লড়াইয়ের কথা জানিয়েছিলেন, তখন, রাজ্যে বাম-কংগ্রেস-আব্বাসের জোট তৈরি হয়নি। পরে জোট পাকাপাকি হওয়ায় তারা সিদ্ধান্ত বদল করছেন। এই জোট তৈরি হওয়ায় তারা রাজ্যে ফের হিন্দু নির্যাতনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন।
প্রার্থী করা হতে পারে দেবতনু ভট্টাচার্যকে
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবার হিন্দু সংহতির প্রধান দেবতনু ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। এব্যাপারে আলোচনাও এগিয়েছে। তাঁকে কলকাতা কিংবা আসানসোলের কোনও আসন থেকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে এব্যাপারে দেবতনু ভট্টাচার্যের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা এখনও কিছুই জানা যায়নি। অন্যদিকে হিন্দু সংহতির বিজেপিকে সমর্থনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন আরেক প্রাক্তন নেতা তথা সিংহবাহিনীর সভাপতি তথা বিজেপি নেচা দেবদত্ত মাঝি।
২০১৯-এর নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন
হিন্দু সংহতির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ২০০৮ সালে। ২০১৯-এর নির্বাচনে তারা বিজেপিকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু এবার লড়াইয়ের তথা ঘোষণার পরে দলের তরফে জানানো হয়েছিল, হিন্দুরা আর বিজেপির ওপরে ভরসা করতে পারছে না।