বিজেপির 'মহান' নেতা তো সারদার সঙ্গে যুক্ত, নাম না করে মিঠুনকে নিশানা সেলিমের
এখনও পর্যন্ত বিজেপির পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় ব্রিগেডের (brigade) সমাবেশ। সেই সমাবেশে বিজেপিতে (bjp) যোগ দেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী (mithun chakraborty)। যা নিয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে আক্রমণ করা হয়েছে সব থেকে বেশি। মিঠুনের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছেন সিপিএম (cpim) পলিটব্যুরোর সদস্য মহঃ সেলিমও (md salim)।
শিলিগুড়িতে মমতার হুঁশিয়ারির মধ্যেই ছন্দপতন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে 'যুদ্ধ' ঘোষণা প্রভাবশালী নেতার

ব্রিগেডের সভায় বিজেপির পতাকা হাতে মিঠুন
সম্ভাবনাটা তৈরি হয়েছিল আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের মিঠুনের মুম্বইয়ের বাড়িতে যাওয়ার দিনেই। ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ভাগবত গিয়চেছিলেন মিঠুনের বাড়িতে। সেই সময় মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিলেন তাঁর সঙ্গে ভাগবতের আধ্যাত্মিক সম্পর্ক। কিন্তু এদিন মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন। বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছিল সাধারণভাবে প্রধানমন্ত্রীর সভায় কোনও যোগদান কর্মসূ থাকে না। কিন্তু নামটা যেহেতু মিঠুন চক্রবর্তী, তাই এব্যাপারে বাড়তি বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।

মিঠুনের নতুন ডায়লগ
এদিন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে ভাষণ দিতে ওঠেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে তিনি নিজের পুরনো ডায়লগ মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানের কথা উল্লেখ করেন। সঙ্গে তিনি বলেন, এই সভায় তিনি নতুন ডায়লগ দিচ্ছেন, এরপরেই তিনি বলেন, আমি জল ঢোরাও নই, বেলেবোরাও নই, জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি। তিনি যে বাঙালি, তাঁর শিকড় যে শহরে রয়েছে, বহিরাগত তকমা দেওয়ার আগে সেই কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

তৃণমূলের তরফে সব থেকে বেশি আক্রমণ
মিঠুন চক্রবর্তীকে এদিন সব থেকে বেশি আক্রমণ করে তৃণমূল কংগ্রেস। সৌগত রায় বলেছেন মিঠুন চারবার দলবদল করেছে। প্রথমে ছিল নকশাল, পরে সিপিএম। তারপর তৃণমূল কংগ্রেস, আর এবার বিজেপি। মিঠুনের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি দাবি করেন, মিঠুনকে ইডি দেখিয়ে হুমকি দিয়েছিল বিজেপি। সেই কারণেই রাজ্যসভার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, মিঠুন চক্রবর্তী তাঁর অত্যন্ত প্রিয়। তিনিই (মিঠুন) একটা সময় মন্তব্য করেছিলেন, ছোট বোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠাল, তিনি সারাজীবন সেই কথা মনে রাখবেন, সেই কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত রাজ্যসভায় সদস্য করার আগে-পরে তৃণমূলের হয়ে ভোটের প্রচারে অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তীকে। কিন্তু বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা থেকে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পরেই তিনি রাজনীতি থেকে সরে যান। তিনি সেই সময় পাওয়া পারিশ্রমিকও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। পরে ২০১৬-তে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে সরে দাঁড়ান।

আক্রমণ সেলিমের
একটা সময়ে প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তীর খুব কাছের বলে পরিচিত ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। একাধিকবার তাঁকে জ্যোতি বসুর সঙ্গেও দেখা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই মিঠুন যখন বিজেপির মঞ্চে, সেই সময় সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য মহঃ সেলিম বলেছেন, আজ যাঁদের মহাগুরু, মহান নেতা বলা হচ্ছে, তাঁরাই তো সারদার সঙ্গে যুক্ত।