ফের আগের মেজাজে মমতা, সোনাচূড়ার চণ্ডীমন্দিরে কাঁসর বাজালেন নিজেই, শুনলেন অভাব-অভিযোগ
ফের আগের মেজাজে মমতা, সোনাচূড়ার চণ্ডীমন্দিরে কাঁসর বাজালেন নিজেই, শুনলেন অভাব-অভিযোগ
মহাযুদ্ধে যাওয়ার আগে দেবতার আশির্বাদ নিতে হয়। সেটাই করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নন্দীগ্রামই তাঁর মহারণের ভূমি। তাই মহারণে নামার আগে বাসুলী মন্দিরে পুজো দিলেন তিনি। মায়ের আশির্বাদ নিয়ে একুশের ভোটের লড়াইয়ের আনুষ্ঠানিক সূচনাটা সেরে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নন্দীগ্রােম বাসুলি মন্দিরে পুজো দিয়ে কাঁসর ঘণ্টা বাজান তিনি। দাওয়ায় বলে ঘরের মেয়ের মতোই গ্রামবাসীদের অভাব-অভিযোগ শোনেন।
নন্দীগ্রামে মমতা
এবার আর ভবানীপুর নয়, নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের মহারণে নন্দীগ্রামে তার প্রতিপক্ষ বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। মাননীয়াকে আগেই লক্ষাধিক ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফেলেছেন তিনি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে একাধিকবার শুভেন্দু নন্দীগ্রামে গিয়েছেন। কিন্তু এই নিয়ে দ্বিতীয় বার নন্দীগ্রামে পা রাখলেন মমতা। একসময়ে যেখান থেকে বাংলার পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল। সেখানেই আবার গেরুয়া ঝড়ের অশনি সংকেত দেখা দিয়েছে। তাই গড় রক্ষায় আগেই ছুটে গিেয়ছেন মমতা। ঘরের মেয়ে হয়ে বর্গিদের সঙ্গে কঠিন লড়াইয়ে নন্দীগ্রাম বাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
সোনাচূড়ায় মন্দিরে পুজো
নন্দীগ্রামে কর্মিসভা সেরে সোনাচূড়ায় বাসুলী মন্দিরে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পুজো দিয়ে ভোটে জয়ের প্রার্থনা করেন তিনি। ঘরের মেয়ের মতোই কাঁসর বাজিয়ে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে দেখতে মন্দিরে ভিড় জমিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। মন্দিরের দাওয়ায় বসে থাকা গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন। অনেকদিন পর মেয়ে ঘরে ফিরলে যেমন হয় ঠিক তেমন উৎসাহই দেখা গিয়েছিল গ্রামবাসীদের মধ্যে।
আগামিকাল মনোনয়ন
আগামিকাল নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে ঘর ভাড়া করে নিয়েছেন তিনি। ৩ মাস অন্তর নন্দীগ্রামে আসবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর কদিন এসেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে আম্ফান ঝড়ের সময় কেউ আসেনি। কেবল শুভেন্দু নিজে ছিলেন বলে দাবি করে প্রচার চালিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীর সেই অভিযোগকে খণ্ডন করতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রতিশ্রুতি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
হিন্দুত্বের তাস
নন্দীগ্রামে কর্মিসভা থেকে চণ্ডীপাঠ করেন মমতা। তিনি বলেন চণ্ডীপাঠ করে বাড়ি থেকে বের হই। আমায় হিন্দু ধর্ম শেখাচ্ছে। নাম না করে বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেছেন কেউ কেউ হিন্দু-মুসলিম ভাগ করার চেষ্টা করছে। নন্দীগ্রামই শিখিয়েছে সম্প্রীতি। মানুষে মানুষে ভাগাভািগ হয় না সেটা নন্দীগ্রামই শিখিয়েছে বলে এদিন পুরনো আন্দোলনের স্মৃতি উস্কে দিয়েছেন। তাঁকে যাঁরা বহিরাগত বলছেন তাঁদের জবাব দিতে এদিন মমতা বলেছেন, আমি যদি বহিরাগত হই তাহলে মুখ্যমন্ত্রী হলাম কী করে।