রাজ্যবাসীর সেবা করতেই জেলা সফরে যাবেন রাজ্যপাল! তৃণমূলের অভিযোগ খণ্ডন
রাজ্যবাসীর সেবা করতে গেলে সব জায়গায় যেতে হবে। আমি যাব। যেখানে প্রযোজন হবে সেখানেই যাব। মানুষকে পরিষেবা দিতে গেলে সর্বত্রই যেতে হবে।
রাজ্যবাসীর সেবা করতে গেলে সব জায়গায় যেতে হবে। আমি যাব। যেখানে প্রযোজন হবে সেখানেই যাব। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে যখন সংসদে অভিযোগ করেছে তৃণমূল, তখন ফের একবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানিয়ে দিলেন তিনি পিছপা হচ্ছেন না তাঁর কাজ থেকে। মানুষকে পরিষেবা দিতে গেলে সর্বত্রই যেতে হবে।
রাজ্যপাল বলেন, কোথাও যেতে কারও অনুমতি প্রয়োজন নেই। যেখানে দরকার মনে করব, সেখানেই আমি যাব। এটা আমার অধিকার। আমাকে এই অধিকার দিয়েছে ভারতের সংবিধান। রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে আমি যেতে পারি। প্রথম রাজ্যপাল হিসেবে দুই ২৪ পরগনায় গিয়েছি। সবাইকে জানিয়েই সব জায়গায় যাচ্ছি, অন্য জেলাতেও যাব।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। একাধিক বিষয়ে চিঠি দিয়েছি তাঁকে। চিঠিতে কী লিখেছি, তা প্রকাশ করব না। শুধু বলব, তিনি রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দেওয়ার সময় পেলেন না। ৫০ দিন হয়ে গেল মুখ্যসচিবও সময় পেলেন না।
তিনি বলেন, আমি সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর অভিযোগ মানছি না। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সব জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর কাট আউট রয়েছে। কোথাও আমার কাটআউট দেখেছেন। ডিএমরা বলছেন, রাজ্যের অনুমতি ছাড়া কাউকে ডাকা যাবে না। তাহলে কী করে আমি সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছি্। এই অভিযোগ মিথ্যা।
তাঁর কথায়, সব জায়গায় জেলাশাসকদের চিঠি আমাকে আহত করেছে। জেলাশাসক-এসপিরা রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে আসছেন না। রাজ্যপালের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকাও লেখা আছে সংবিধানে। রাজ্যপাল কেন্দ্রের এজেন্ট, তাঁকে অধিকার দিয়েছে সংবিধানই। সংবিধানের অধিকার পালন করতে দ্বিধা করব না। বুলবুল নিয়ে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দেওয়া উচিত ছিল মুখ্যমন্ত্রীর।
রাজ্যসভা ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রাণভোমরা, বললেন মোদী
মন্ত্রীরা রাজ্যপালকে পর্যটক বলে কটাক্ষ করছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি মন্ত্রীদের মন্তব্য নিয়ে কিছু বলব না। ওটা মুখ্যমন্ত্রী দেখবেন, এই আশা করব। আমি শুধু একটা কথাই বলব, যে যাই বলুন, আমি যাবই। হেলিকপ্টার না পেলেও যাব। আগেও চেয়েছি পাইনি। না পেলে সড়ক পথে যাব।
অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির জন্য ৫ লাখ টাকা দেবে মুসলিমরা