কী কারণে খুন বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা? জট খুলল রহস্যের! সিআইডির জালে দুই
বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার খুন-রহস্যের জট খুলছে ? বিশেষ তদন্তকারী দল গ্রেপ্তার করেছে দু'জনকে। গুলাব শেখ এবং মহম্মদ খুররম। খুররমই না কি শার্প শুটার গুলাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তবে কেন এই খুন? সেক্ষেত্রে উঠে আসছে প্রতিহিংসার বিষয়টিই। পিতৃহত্যার বদলা নিতেই না কি এই নৃশংস খুন। অন্তত প্রাথমিকভাবে পুলিশের ইঙ্গিত এমনই।
সিআইডি তদন্তের নির্দেশ
মণীশের খুনে গতকালই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। তৈরি হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল। যেখানে সিআইডি আধিকারিকদের পাশাপাশি রয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে তদন্তকারীদেরও। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয় প্রথমে। দুটি বাইক সনাক্ত করা হয়। এই বাইকেই ঘটনাস্থানে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই বাইকের সূত্র ধরে এক আততায়ীকে চিহ্নিত করা হয়। তার নাম গুলাব শেখ।
গুলাবকে আটক করা হয়
এরপর গতকালই গুলাবকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে উঠে আসে মহম্মদ খুররমের নাম। পেশায় ব্যবসায়ী খুররম। শার্প শুটার গুলাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল খুনের জন্য। গুলাবের সঙ্গে ছিল আরও তিনজন। তাদের খোঁজ চলছে। তল্লাশি জারি রেখেছে সিআইডি এবং পুলিশ।
সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা যায়
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আততায়ী দাঁড়িয়েছিল মণীশ শুক্লার গা ঘেঁষেই। খুব কাছ থেকে সে মণীশকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায়। খুনের ঘটনার সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিজেপি নেতা। কিছুক্ষণের মধ্যে মণীশের মুখোমুখি একটি বাইক আসে। সেই বাইক থেকে গুলি চালানো হয় তাঁর উপর৷ গুলি লেগে মাটিতে শুয়ে পড়েন তিনি। এরপর বাইকে চম্পট দেয় আততায়ী।
কিন্তু কেন এই খুন?
কিন্তু কেন এই খুন? পুরনো শত্রুতার জেরে আক্রোশ মেটাতেই মণীশ খুন। খুররমের বাবা এক সময়ে সিপিআইএম কর্মী ছিলেন। তিনিও খুন হয়েছিলেন। সেই খুনে উঠে এসেছিল মণীশের নাম। এরপর থেকেই মণীশ এবং খুররমের শত্রুতা ব্যারাকপুরে সর্বজনবিদিত। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পিতৃহত্যার বদলা নিতেই খুনের ছক কষা হয়। গতকাল পুলিশ ইঙ্গিত দিয়েছিল, রাজনীতি নয়। পুরনো শত্রুতা থাকতে পারে এই খুনের পিছনে।
গঙ্গাপারে একা দাঁড়িয়ে চিরাগ, বিহারে কোন সমীকরণে হাত মেলাল বিজেপি-জেডিইউ?