একেবারে টিম নিয়ে কলকাতায় হাজির 'বিদ্রোহী' বিধায়ক সুদীপ! বড়সড় ভাঙনের মুখে ত্রিপুরা বিজেপি
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলেই বিপ্লব দেবের সরকার ফেলে দিতে পারে! কিন্তু গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। গত কয়েকদিন আগেই এহেন হুঁশিয়ারি দেন কুণাল ঘোষ। তাঁর এহেন হুঁশিয়ারির পরেই ত্রিপুরার রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ। কলকাতায় এলেন সুদীপ রায় বর
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলেই বিপ্লব দেবের সরকার ফেলে দিতে পারে! কিন্তু গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। গত কয়েকদিন আগেই এহেন হুঁশিয়ারি দেন কুণাল ঘোষ। তাঁর এহেন হুঁশিয়ারির পরেই ত্রিপুরার রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ। কলকাতায় এলেন সুদীপ রায় বর্মন।
একেবারে দলবল নিয়ে কলকাতায় হাজির তিনি। বিপ্লব দেব বিরোধী হিসাবে পরিচিত তিনি। মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে মুকুল রায়ের তৃণমূলে ঘরওয়াপসির পর থেকে সুদীপ রায় বর্মনও তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল।
কার্যত সেই জল্পনা সত্যি হতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে কলকাতায় পৌঁছেছেন ত্রিপুরা বিজেপির বিদ্রোহী বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। তাঁর সঙ্গে কলকাতায় এসেছেন আরও এক বিধায়ক। অন্যদিকে সুদীপ ঘনিষ্ঠ আরও এক বিধায়ক গত কয়েকদিন ধরে কলকাতাতে রয়েছেন।
শুধু কলকাতাতে থাকা তৃণমূলে যোগ দিয়ে চেয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দিয়েছেন বিধায়ক জিতিন সরকার। জানা যাচ্ছে, খুব শীঘ্র সুদীপ রায় বর্মণের সঙ্গে বৈঠকে বসেতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও অনেকে বলছেন দলবল নিয়ে সুদীপের তৃণমূলে যোগদান সময়ের অপেক্ষা। উল্লেখ্য, ত্রিপুরা বিজেপির বিদ্রোহী বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছেন সুদীপ।
সে রাজ্যে একটা সময় তাঁর হাত দিয়ে ঘাসফুল ফুটলেও মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিতেই তিনিও বিজেপিতে যোগ দেন। যদিও পরবর্তীকালে বিধায়ক এবং পরে বিপ্লব দেব সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীও হন। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যে বিপ্লব দেব সরকারের সঙ্গে সংঘাতে মন্ত্রিত্ব যায় তাঁর।
এরপর থেকে দলের মধ্যেই কোনঠাসা এই বিধায়ক। যদিও গিত কয়েকদিন আগেই বিজেপিতে রয়েছে বলে দাবি করলেও মন থেকে বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি সেটি পরিষ্কার। উল্লেখ্য, পাখির চোখ ত্রিপুরা! এমনকি খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, ত্রিপুরা আমরা দখল করব।
যদিও ত্রিপুরারে বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। এই অবস্থাতেও সে রাজ্যে দলবদল চলছে। দফায় দফায় সেখানে ছুটে যাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে ত্রিপুরার মাটিতে ক্রমশ হালকা হচ্ছে বিজেপির পায়ের তলার মাটি। সেখানে তৃমুল একটা বড় জায়গা করে নিচ্ছে। এই অবস্থায় সেই রাজ্যে দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট! তবে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায় সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিকমহল।