পিকের অঙ্কেই গুরুত্বপূর্ণ পদ বিজেপি ফেরত হেভিওয়েট নেতাকে! ২১-এর নির্বাচনের আগে কোমর কষছে তৃণমূল
পিকের অঙ্কেই গুরুত্বপূর্ণ পদ বিজেপি ফেরত হেভিওয়েট নেতাকে! ২১-এর নির্বাচনের আগে কোমর কষছে তৃণমূল
বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মাস পাঁচেক আগে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের পর তিনি যে বড় পদ পেতে পারেন, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এবার সেই বিপ্লব মিত্রকে (bjplab mitra) দক্ষিণ দিনাজপুর (south dinajpur) জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান করা হল। এদিন এই ঘোষণা করা হয়েছে। তবে রাজনৈতিক মহলের অভিমত, যা করা হয়েছে, সবই প্রশান্ত কিশোরের (prashant kishor) পরামর্শে এবং ভোটের অঙ্ক মাথায় রেখেই।
বিজেপিতে যোগ দিয়ে দলে ফিরেছিলেন আগেই
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পরেই বিপ্লব মিত্রকে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলার সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে অর্পিতা ঘোষকে সভাপতি করা হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনে অর্পিতা ঘোষ হেরে যাওয়ায় বিপ্লব মিত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সেই সময়ই তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁর ভাই প্রশান্ত মিত্রও। জেলা পরিষদের অধিকাংশই তাঁর হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দেয়। যদিও গত অগাস্টে তিনি তৃণমূলে ফিরে আসেন। তাঁর সঙ্গে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরাও তৃণমূলে ফিরে আসেন। তবে তারপর থেকে তাঁকে কোনও পদ দেওয়া হয়নি।
চেয়ারম্যান করা হল বিপ্লব মিত্রকে সরানো হল শংকর চক্রবর্তীকে
কিন্তু বিপ্লব মিত্র দলে ফিরে আসার পর থেকে প্রশান্ত কিশোরের টিম বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখেছে। খতিয়ে দেখা হয়েছে বিপ্লব মিত্রে সাংগঠনিক অবস্থানও। সেই পরিস্থিতির বিবেচনা করে দক্ষিণ দিনাজপুরের নতুন তৃণমূল চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিপ্লব মিত্রকে। তাঁকে এই পদ দিতে গিয়ে সরাতে হয়েছে শংকর চক্রবর্তীকে। তাঁকে রাজ্য কমিটির সহ সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে।
আগেই সরানো হয়েছিল অর্পিতা ঘোষকে
দক্ষিণ দিনাজপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে ওঠায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সভাপতির দায়িত্বে থাকা অর্পিতা ঘোষকে। সেই জায়গায় আনা হয়েছিল গৌতম দাসকে। বিপ্লব মিত্র দলে যোগ দেওয়ার পর থেকে শএানা যাচ্ছিল তাঁকে ফের দলের জেলা সভাপতি করা হতে পারে। কিন্তু কোনও দায়িত্ব না দেওয়ার হতাশ হয়ে পড়ছিলেন, জেলায় বিপ্লব মিত্রের অনুগামীরা। তাঁদের ভরসা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গঙ্গারামপুরের সভার ওপরেই। কেননা সেই সভার আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জেলার এই দাদাকেই। আশা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরে যাওয়ার পরেই বড় পদ দেওয়া হবে বিপ্লব মিত্রকে। কেননা সামনেই ভোট। অনেক অঙ্ক।
দুই গোষ্ঠীর ভারসাম্য রক্ষা করেই সংগঠনকে শক্তিশালী করার পন্থা
জেলা সভাপতি গৌতম দাসের গোষ্ঠীও আশঙ্কায় ছিল যদি তাঁকে (গৌতম দাস) সরিয়ে দেওয়া হয়। কেননা যদি বিপ্লব মিত্রকে কোনও নিয়ন্ত্রণকারী পদ দেওয়া হত তাহলে বড় চাপে পড়ে যেত এই গোষ্ঠী। জেলার রাজনৈতিক মহলের মত, সামনে থেকে কিছু না বললেও, বিরুদ্ধ গোষ্ঠী চেষ্টা করে গিয়েছে, যাতে বিপ্লব মিত্রকে সভাপতির পদে না ফেরানো হয়, তার জন্য। শেষ পর্যন্ত তারা সফলই হলেন।
মুকুলের বিকল্প তৈরি হয়নি তৃণমূলে! পিকে-অভিষেকদের দিয়ে পূরণ হয়নি শূন্যস্থান