দিল্লিতে হামলার ছক ছিল, রবিবারই রাজধানী উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ধৃত আল-কায়দা জঙ্গিদের
মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার ছয় আল কায়দা জঙ্গিকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রানজিট রিমান্ডের অনুমতি দিয়েছে কলকাতার এনআইএ বিশেষ আদালত৷ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ় কোর্টে ধৃতদের বিচারকের সামনে হাজির করা হবে। এমনই জানিয়েছেন এনআইএ-র আইনজীবী শ্যামল ঘোষ।
আজই ৯ আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এনআইএ
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ এবং কেরলের এরনাকুলাম থেকে ৯ আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এনআইএ। গোয়েন্দারা রাতভর অভিযান চালিয়ে এই জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয় জন মুর্শিদাবাদের। গোয়েন্দাদের দাবি এই জঙ্গি মডিউলের ভারতে হামলার পরিকল্পনা ছিল।
দিল্লিতে হামলার ছকা কষছিল জঙ্গিরা
মূলত রাজধানী দিল্লিতে হামলার ছকা কষছিল বলে ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে জানতে পেরেছিল এনআইএ। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ তারিখে দিল্লিতে দায়ের হয় মামলা। তারপরই এনআইএ-র গোয়েন্দাদের একটি দল মুর্শিদাবাদ থেকে এই ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে৷ আজ তাদের দ্বিতীয় ধাপে কলকাতার এনআইএ স্পেশাল কোর্টে তোলা হলে বিচারক ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রানজিট রিমান্ডের অনুমতি দেন৷
১১ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করে এনআইএ
ডোমকল থেকে জলঙ্গি। কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া, কেউ আবার পরিযায়ী শ্রমিক। গতরাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের ছটি জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ জনকে। এবিষয়ে এনআইএ-র কাছে ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট ছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করে এনআইএ।
গোয়েন্দারা বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন
তারপর থেকেই গোয়েন্দারা বিভিন্ন সোর্স মারফত খবরা-খবর নেওয়া শুরু করেন। সেই সূত্র ধরে আজ এনআইএ-র হাতে মুর্শিদাবাদের গ্রেফতার হওয়া নাজমুস সাকিব, আবু সুফিয়ান, মইনুল মণ্ডল, লিউইয়ান আহমেদ, আল মামুন কামাল, আতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছেন গোয়েন্দারা।
২৪ তারিখ পর্যন্ত ট্রানজিট রিমান্ডের অনুমোদন
আজ তাদের প্রত্যেককেই এনআইএ-র স্পেশাল আদালতে তোলা হয়। এনআইএ-র আইনজীবী শ্যামল ঘোষ নিজের সওয়াল করতে গিয়ে আদালতে জানান, ধৃতদের কাছে জিহাদি জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে। তারা দেশে নাশকতার ছক করছিল। দিল্লিতেও নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। ধৃতদের ভালোভাবে জেরা করা প্রয়োজন। কারণ পরিকল্পনা অত্যন্ত ভয়ংকর। তিনি বলেন, 'আদালত ধৃতদের ২৪ তারিখ পর্যন্ত ট্রানজিট রিমান্ডের অনুমোদন দিয়েছে। যেহেতু এই বিষয়ে প্রধান মামলাটি হয়েছে দিল্লিতে, তাই তাদের দিল্লি আদালতে তোলা হবে।'